বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের প্রতিরোধ ব্যুহকে ভেদ করে হামাসের একের পর রকেট আছড়ে পড়ছে ইসরায়েলে। হামাসের অস্ত্রাগারে স্থানীয়ভাবে তৈরী স্বল্প পাল্লার কাসাম রকেটের পাশাপাশি ইরানে নির্মিত মাঝারি পাল্লার ফজর রকেটও রয়েছে। এখন পর্যন্ত রকেট হামলায় নিহত হয়েছে সাত ইসরায়েলি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেল শোধনাগার, চেকপোস্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিন। প্রতিদিন হামলায় নিহত হচ্ছে শিশু-নারীসহ অসংখ্য মানুষ। বিবর্ণ এক ঈদ উদযাপন করেছে ফিলিস্তিনবাসী।
স্থানীয়ভাবে তৈরি কাসাম সিরিজের রকেট ব্যবহার করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। এর পাশাপাশি ইরানে নির্মিত মাঝারি পাল্লার ফজর রকেটও ব্যবহার করা হচ্ছে। এতেই দিশেহারা ইসরায়েল।
ইসরায়েলিদের মনোবলে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পেরেছে হামাস। স্বল্প পাল্লার রকেট প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে যেতে সক্ষম। হামাসের পাল্টা প্রতিরোধে ইসরায়েলিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আয়রন ডোমের সাইরেন বেজে উঠলেই জীবন বাঁচাতে ছুটছে ইসরায়েলিরা।
এসব রকেট ইসরায়েলি ভূমিতে আছড়ে পড়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আগে প্রায় ৯৮ শতাংশ রকেটই আয়রন ডোম প্রতিরোধ করতে পারতো। এবার সেখানে আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে কয়েকটি রকেট। একবারে শত শত রকেট ছোড়ার কারণে তা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে আয়রন ডোম।
এসএন
