বাসে সিট রাখাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সাড়ে ৮টার বাসে এ ঘটনা ঘটে। ফাইজার অভিযোগ তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছে জাহাঙ্গীর।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও তার বন্ধু ওয়াসিম রাতের বাসে খাতা দিয়ে সিট রাখে। পরে ফাইজা আপু তাদের খাতা ফেলে দিয়ে নিজে বসে পড়ে এবং আরও দুইটি সিট দখল করে। পরে জাহাঙ্গীর ও তার সহপাঠী ব্যাগ ফেলে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফাইজা জাহাঙ্গীরকে থাপ্পড় দেয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তবে ফাইজার দাবি জাহাঙ্গীরের আচরণে সে মানসিকভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, বাস ছাড়ার আগ মুহুর্তে আমি আমার বন্ধুর জন্য পাশে সিট রাখি। ফাইজা এসে আমার খাতাটা সিট থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। তারপর আমার রাখা সিটে অন্যজনকে বসায়। আমার সাথে চিল্লাচিল্লি করেছে, এক পর্যায়ে আমাকে থাপ্পড় মারে। আরেকবার থাপ্পড় মারতে আসলে আমি সরে যাই।
যেহেতু আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় ও শারিরীকভাবে হেনস্তা করে , তাই আমি প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিব।
তবে ফাইজার দাবি তিনি অসুস্থ থাকায় সিটে বসে। তিনি আরও বলেন, বাসে জাহাঙ্গীর আমার সাথে অনেক বাজে বিহেভ করেছিল। কিন্তু জাহাঙ্গীরের গায়ে হাত দেই নাই। সে কথা বলার এক পর্যায়ে তার ব্যবহার এমন ছিল যে, সে আমার গায়ে হাত দিবে। সেটা আমি একজন মেয়ে হিসেবে আমার পছন্দ হয়নি। আমি তার ভাষায় তাকে জবাব দিয়েছি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমি তো কমিটির বিষয় নিয়ে ঢাকায় আছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে যে দোষী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছি বিষয়টি। তবে এখনো কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি, যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে ব্যবস্থা নিব।