এমন অনেকেই আছেন, যারা গাঢ় লিপস্টিক ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতেই পারেন না। কিন্তু সেই সঙ্গে আবার মনের কোণে একটা ভয়ও কাজ করে, রোজ ডার্ক লিপস্টিক লাগালে ঠোঁট আবার কালো হয়ে যাবে না তো!
এর উত্তর এক কথায় দেয়া সম্ভব নয়। তবে কতগুলো সহজ উপায় নিশ্চিতভাবে বলা যেতেই পারে।
- নিয়মিত বাড়ি ফিরে ঠোঁট পরিষ্কার করুন এবং লিপস্টিকের সর্বশেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলুন যত্ন নিয়ে। ঠোঁটের আর্দ্রতায় কোনও ঘাটতি যেন না পড়ে, সে বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। সারা দিনে যতবার মুখ ধুচ্ছেন বা কুলকুচি করছেন, ততবার মুখ-ঠোঁট মুছে প্রথমে লিপ বাম লাগান, তারপর লিপস্টিক টাচ আপ করুন।
আপনার ঠোঁটে এমন লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে যার মধ্যে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ আছে। কারণ ত্বকের মতো আপনার ঠোঁটেও কালচেভাব ফেলতে পারে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি। সেই সঙ্গে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেরও এক্সফোলিয়েশন একান্ত প্রয়োজনীয়।
- সর, মধু আর লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে সামান্য চিনি আঙুলের ফাঁকে নিয়ে ঠোঁটের উপর চক্রাকারে ঘষুন। এর ফলে সমস্ত মৃত কোষ সরে যাবে। আপনার যদি এর পরেও মনে হয় যে ঠোঁটের কালচেভাব বাড়ছে ক্রমশ, তা হলে বদলে ফেলুন আপনার টুথপেস্ট। টুথপেস্টের কোনও বিশেষ উপাদান থেকে অ্যালার্জির কারণেও ঠোঁটের স্বাভাবিক রং বদলে গাঢ় হয়ে যেতে পারে।
- নারকেল তেলের পরত লাগান ঠোঁটে। ময়েশ্চরাইজার হিসেবে কাজ করবে, ঠোঁটের স্বাভাবিক রং বজায় রাখতেও সাহায্য করবে। পাতিলেবু আর মধু মিশ্রণ বানিয়ে প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে লাগিয়ে দেখতে পারেন, ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরাও।
শসার রস আর বেদানার রসও ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে যাই করুন না কেন, মনে রাখবেন কোন কিছুতেই রাতারাতি ফল পাওয়ার আশা তেমন থাকে না। ধৈর্য ধরে একটু অপেক্ষা করতেই হবে!
এবার প্রশ্ন, যদি ঠোঁটের রং কালো হয়েই যায়, তা হলে কী উপায়?
এক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলে নেয়া উচিত – কারণ কোনও শারীরিক সমস্যা থেকে এই পিগমেন্টেশন হচ্ছে কিনা, তা জানাটা জরুরি।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনগাঢ় | শেডের | লিপস্টিকে | ঠোঁট | কালো