পুলিশি অভিযোগ উরফির কাছে নতুন কিছু নয়। নিত্যদিন পুলিশের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ চলতেই থাকে তার। নেপথ্যের কারণ, তার সৃজনশীল পোশাক। এবার নতুন বছরের শুরুতেই বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াগকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন উরফি।
মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী চিত্রা কিশোর ওয়াঘের অভিযোগে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল উরফি জাভেদকে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উরফি। কমিশনের চেয়ারপার্সন রুপোলি চাকণকরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর উরফির দাবি, চিত্রার মন্তব্যে তার উপর হামলায় উস্কানি রয়েছে। তারপরই উরফিকে ডেকে পাঠায় মুম্বাই পুলিশ।
শুরুটা অবশ্য হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিজেপির মহিলা মোর্চা সভাপতি চিত্রার অভিযোগেই। প্রকাশ্য রাস্তায় অশালীন আচরণ করছেন উরফি, নগ্নতার প্রচার চলছে বলে দীর্ঘ পত্রে দাবি জানিয়েছিলেন নেত্রী। এমনকি, তার গ্রেপ্তারির দাবিও করেছেন। তারপরই ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সম্প্রতি একটি পিঠখোলা পোশাকে খোদ চিত্রাকে ট্যাগ করে ‘আই লভ ইউ’ লিখে বসেন উরফি। জানান, চিত্রার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তারপরের দিনই আবার লেখেন, চিত্রার পুত্রবধূ হবেন। এই করতে করতে শুক্রবার একেবারে অগ্নিমূর্তি উরফির।
উরফির আইনজীবী নিতিন সাতপুতের দাবি, ‘চিত্রা ওয়াঘের বিরুদ্ধে উরফি জাভেদকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের এক সদস্য যখন এ হুমকি দিচ্ছেন, তার অর্থ, এতে সরকারের সমর্থন রয়েছে। এ ধরনের মন্তব্যে উরফির ক্ষতি হতে পারে। উরফিকে নিয়ে যাতে এ ধরনের মন্তব্য না করেন, সে জন্য ওয়াঘের বিরুদ্ধে মুম্বাই পুলিশের দ্বারস্থ হব।’
ইতিমধ্যে নিত্যনতুন পোশাক পরে ছবি দেয়ার পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে ক্ষুরধার বক্তব্য পোস্ট করেছিলেন উরফি। পাল্টা আক্রমণ করে চিত্রার ছবি পোস্ট করে উরফি লেখেন, “এই মহিলার স্বামীই ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। তখন স্বামীকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আগে এনসিপিতে থাকাকালীন সঞ্জয় রাঠৌরের বিরুদ্ধে স্বর তুলেছিলেন। সেই সঞ্জয়ের সঙ্গেই এখন গলায় গলায় ভাব চিত্রার।” এই লড়াই কোথায় গিয়ে শেষ হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়!