সরকার স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোর-যুবাদের দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এজন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কাউট প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) গাজীপুরের মৌচাকে ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন এসব কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্কাউট সম্প্রসারণের মাধ্যমে শিশু কিশোরদের আত্মনির্ভরশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। স্কাউটে বর্তমানে ২২ লাখ সদস্য আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ সদস্য হবে। তার প্রত্যাশা দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী এর আওতায় আসুক।
এসময় স্কাউটের কাজের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, স্কাউট-ই নতুন প্রজন্মকে নৈতিক ও জীবনধর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আর তরুণদের মধ্যে আধুনিক সৃজনশীল গুণাবলী বিকশিত হয়। ফলে স্কাউট সদস্যরা সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত হচ্ছে ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলছে। পরোপকারী হিসেবে সমাজ সেবার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারি করোনায় তাদের আন্তরিকতা সকলেই দেখতে পেয়েছে। এ স্কাউট আন্দোলন আরও ব্যাপকভাবে গড়ে উঠুক। এজন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সংঘাত, ক্ষমতা দখল, আগুন সন্ত্রাসসহ সব বাধা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সরকার প্রধান প্রত্যাশা করেন দেশটা আরও চমৎকারভাবে গড়ে উঠুক। যেখানে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ স্থান পাবে না। সাম্প্রদায়িকতা বা সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত থাকবে। আজকের শিশু যারা বড় হবে, তারা উদার মন নিয়ে বড় হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। দেশকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং গঠন করার কাজ করবে।
উল্লেখ্য, মৌচাকের জাতীয় স্কাউট মাঠে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) শুরু হয় জাম্বুরি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকাসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ১১ হাজার স্কাউট, স্কাউট কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবক ও রোভার স্কাউট ৯ দিনের এই সমাবেশে অংশ নেন।