ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা বাংলাদেশ- ওয়ানডে ক্রিকেটে 'পুঁচকে' আয়ারল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হওয়া বড় দলের নামের তালিকাটা ছোট নয়। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের ৪৩ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল আয়ারল্যান্ড। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আইরিশদের এটাই প্রথম জয়।
ডাবলিনের ম্যালাহাইডে ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচে এই জয়ে আইরিশদের নামের পাশে যুক্ত হলো আরও ১০ পয়েন্ট। বৃষ্টিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়াতে মিলেছিল আরও ৫ পয়েন্ট। ১৪ বছরে সাত ম্যাচ খেলে আয়ারল্যান্ডের এটিই প্রথম জয়। যেখানে স্বাগতিকদের হয়ে জয়সূচক শতক হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
২৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না সফরকারীদের। ৩তম ওভারেই ২ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে ফেলে দলটি। তবে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে প্রথমবারের মতো আইরিশদের বিপক্ষে হারের লজ্জায় পড়তে হয় দলটিকে। ৪৮.৩ ওভারে ২৪৭ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওপেনার ইয়ানেমান ম্যালান ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রেসি ফন ডার ডুসেন ছাড়া বলার মতো রান পাননি অন্য কোনো প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ৯৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রান করেছেন ম্যালান। ৭০ বলে ৪৯ রান ফন ডার ডুসেনের। আয়ারল্যান্ডের ছয় বোলার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন উইকেটগুলো। ৩৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংটা অফ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আইরিশদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দুই ওপেনার স্টার্লিং ও বলবার্নি। স্টার্লিং ২৭ রানে ফিরলেও ১১৭ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ১০২ রান করেছেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি। আইরিশ অধিনায়কের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি সাজানো ১০ চার ও ২ ছক্কায়। অধিনায়কের গড়ে দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এরপর তাণ্ডব চালিয়েছেন টেক্টর ও জর্জ ডকরেল।
চতুর্থ উইকেটে ৪৬ বলে ৯০ রান যোগ করেন দুজন। ৬৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৯ রান করেন টেক্টর। ২৬ বলে এই রানের ৪৮-ই টেক্টর করেছেন বলবার্নি ফেরার পর। ১৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে টেক্টরের এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। অন্য পাশে ডকরেল করেছেন ২৩ বলে ৪৫ রান। তাঁর ইনিংসে ৫ চারটি, ছক্কা দুটি। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২৯০ এ থামে স্বাগতিকরা।
প্রোটিয়াদের হয়ে ২ উইকেট নেন আন্দিলে ফেহলুকোয়ায়ো, তাবরাইজ শামসি, কাগিসো রাবাদা ও কেশভ মেহরাজ ১ টি করে উইকেট নেন। শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচ ম্যালাহাইডেই।
এএ
