মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগআবারও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে। স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সংযোগ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের রাস্তাগুলোতে সাঁজোয়া যান টহল দিচ্ছে। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের দমনে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সামরিক বাহিনী। ইয়াঙ্গুন, কাচিনসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অভিযান চালানো হয়।
উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে একটি বিক্ষোভে গুলি চালায় সেনারা। এতে গুলিবিদ্ধ হন একজন। আটক করা হয়েছে পাঁচ সাংবাদিকসহ অনেক বিক্ষোভকারীকে।
অভ্যুত্থানের পর গতকাল রোববার প্রথমবারের মত ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় অস্ত্রবাহী সাঁজোয়া যান চলতে দেখা গেছে। সেখানে একটি র্যালি করেছে ভিক্ষু ও প্রকৌশলীরা। এছাড়া রাজধানী নেইপিদোতে মটরসাইকেল চালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।
মিয়ানমারের টেলিকম অপারেটররা জানায়, রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তাদের। এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক অবস্থার ১৪ শতাংশ ছিল বলে জানায় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নেটব্লক।
মিয়ানমারের সেনারা জনগণের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সামরিক বাহিনীর প্রতি নমনীয় আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রু অভিযোগ করে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। টুইটারে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের এই বিশেষ প্রতিনিধি লেখেন, জেনারেলদের মধ্যে মরিয়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তাদের জবাবদিহির আওয়তায় আনতে হবে।
দমন-পীড়ন বন্ধে সামরিক বাহিনীকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বিট্রেনসহ পশ্চিমা দূতাবাসগুলো। এক যৌথ বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন জানায়, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি। তারা যেন বৈধ সরকারের উৎখাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের প্রতি সংযত আচরণ করে।
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যূত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার মুক্তির দাবি ও সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে নয় দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল দেশটি।
এসএন