ফিচার
ইতিহাসে ভালোবাসা দিবস…
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ উদযাপন করছে দিবসটি। এ দিনটিকেই ভালোবাসা প্রকাশের দিবস হিসেবে নেয়ার কতগুলো ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খ্রীস্টান ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ঘিরে।
ইতালীর ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন শিশুপ্রেমিক। তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস ছিলেন দেব-দেবী পুজারী। সম্রাট তাকে দেব-দেবী পুজা করতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। এতে সম্রাট ক্ষুদ্ধ হয়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেদিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই থেকেই প্রেমিক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন শুরু করে তার ভক্তরা।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ে আরেকটি মতও রয়েছে। তরুণ-তরুণীদের অনেকেই ফুল উপহার নিয়ে কারারুদ্ধ সেন্ট ভ্যালেন্টাইকে দেখতে যেতেন। কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেতো। একসময় ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যান। ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পায় ওই মেয়েটি। যুবক-যুবতীদের প্রতি তার ভালোবাসা আর ভ্যালেন্টাইনের প্রতি যুবক-যুবকদের ভালোবাসার কথা জানতে পেরে সম্রাট ক্ষুব্ধ হন পরে ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে নিয়ে আরেকটি মত পাওয়া যায়। সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রাখতে দরকার হয় রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াসের বিশাল সেনাবাহিনী প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে যুবকদের বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেন সম্রাট। যাতে যুবকরা সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য হয়। এ ঘোষণায় ক্ষেপে যায় দেশের যুবক-যুবতীরা। ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনও সম্রাটের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি গোপনে গির্জায় বিয়ে পড়াতে থাকেন। সেই থেকে তিনি পরিচিতি পেতে থাকেন ‘ভালোবাসার বন্ধু বা ‘Friend of Lovers’ নামে। বিষয়টি সম্রাট ক্রাডিয়াস শুনে ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন।
ভালবাসা দিবস নিয়ে আরেকটি প্রচলিত মত হচ্ছে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন ছিলো। রোমানরা বিশ্বাস করতো জুনোর ইচ্ছা ছাড়া কোনও বিয়ে সফল হয় না। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারী তারা লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে তরুণ-তরুণীদের লটারীর মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই করত।
এমন অনেক প্রচলিত ঘটনা, তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস নিয়ে। একেকজন একেকভাবে এর যুক্তি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তবে সব কিছু ছাপিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা চিরন্তর। আর এ ভালোবাসা থেকেই ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি।
সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন শুরু হয়। সে থেকেই এদেশের প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে উদযাপন করে। এ দিনে নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দু’ছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।
এমনও শোনা যায় তেজগাঁও ‘লাভ রোড’-র নামকরণটিও করেছেন যায়াযায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান।
- বাংলাদেশ6 days ago
জাহাজের গতি বাড়িয়েছে সোমালি জলদস্যুরা
- বাংলাদেশ6 days ago
জিম্মি জাহাজ ও নাবিক উদ্ধারে যেভাবে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে
- রংপুর7 days ago
দেশের দীর্ঘতম রেলপথ চালু হলো
- বাংলাদেশ6 days ago
বাংলাদেশি জাহাজকে যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা
- টুকিটাকি5 days ago
ভাইয়ের বিয়েতে বোন পালাল ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে
- বাংলাদেশ7 days ago
অল্প সময়ে কোটিপতি হতে চেয়েছিলেন তারা!
- টুকিটাকি4 days ago
৬০ শতাংশ বিবাহিত নারী-পুরুষই পরকীয়ায় আসক্ত!
- ঢালিউড5 days ago
কষ্ট নিয়েই চলে গেল আমার ভাই- শিবলী মহম্মদ
Warning: Undefined variable $user_ID in /home/bayanno.com/public_html/wp-content/themes/zox-news-github/comments.php on line 49
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন