ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ আগুনে হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবে বরগুনা প্রেলা প্রশাসন। আগুনে বরগুনার নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রশাসকের বাসভবনে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, লঞ্চের যাত্রীদের অনেকেই বরগুনার। তাই আমরা জেলা প্রশাসন থেকে ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছি। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বরগুনার যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে আমরা ২৫ হাজার এবং যারা আহত আছেন তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়। এতে শেষ খবর পর্যন্ত ৪০ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
ভোর ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা।
এদিকে, লঞ্চে আগুনের খবর শুনে বরগুনা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে স্বজনরা ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছেন। তাদের আহাজারিতে এখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে গেছে।
এ ছাড়া লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।