ভেটোর মুখেও সাময়িক ক্ষমতায় থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর বামপন্থি নেতা প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাসটিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। ক্ষমতা হারানোর পরই অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
এরই মধ্যে আইনসভার ভোটে পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বুলার্তো। এতদিন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনিই দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিরোধীদের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস বিরোধিতা ছাড়াই ক্যাসটিলোকে অপসারণের পক্ষে ভোট দেয়।
আগের দিন মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ক্যাসটিলো এক ঘোষণা জানিয়েছিলেন, আইনসভা সাময়িকভাবে বিলুপ্ত করা হবে এবং তিনি ডিক্রি জারির মাধ্যমে দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করবেন। দেশে আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও ঘোষণায় বলেছিলেন ক্যাসটিলো।
তখন এ ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করে বিরোধী শিবিরসহ অন্যরা। এমনকি সেসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বুলার্তো এ ধরনের ঘোষণাকে রাষ্ট্রবিরোধী অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন।
অভিশংসনের মাধ্যমে ক্যাসটিলোকে অপসারণের পর দেশটির কংগ্রেস দিনা বুলার্তোকে ক্ষমতা নেওয়ার আহ্বান জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার পেরুর প্রথম নারী নেতা হিসেবে শপথ নেন বুলার্তো। তিনি ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শপথ নিয়ে রাষ্ট্রীয় সংকট নিরসনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটাতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বুলার্তো। সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথে হাঁটছেন তিনি। নতুন প্রেসিডেন্ট দেশকে সংকটমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকার এ দেশটি। এরই মধ্যে একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।