আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বাতিল হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

বাতিল হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। এ পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই পরীক্ষা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মতির পর এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হবে। এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। 

রোববার (২০ জুন) সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ এম মনছুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মহা-পরিচালক জানান, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন চলবে। তবে তাদের অটোপাস দেয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনা সম্ভব হলেও তাদের বার্ষিক পাঠপরিকল্পনার আলোকে পড়ানো হবে। এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে সবকিছু বন্ধ আছে। যদিও আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান করে যাচ্ছি। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের একদিনের জন্যও সরাসরি ক্লাসে আনতে পারিনি। তাই এবারের পিইসি পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা আমাদের নেই। 

জানা গেছে, পরীক্ষা না নিয়ে এর পরিবর্তে ‘বাড়ির কাজ’ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে তোলা হবে। অটোপাস দেয়া হবে না এবার। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সম্মতি পেলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, পিইসির মতো ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষাও না নেয়ার চিন্তা চলছে। 

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নাও হতে পারে। একই রকম সিদ্ধান্ত হতে পারে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ব্যাপারে। এ দুটিই অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা। করোনার কারণে এ চার পরীক্ষা গত বছরও নেয়া হয়নি।  

করোনা পরিস্থিতির কারণে উল্লিখিত চার পরীক্ষা গত বছরও নেয়া যায়নি। তবে গত বছর এ ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। এবার আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। পিইসি ও ইইসি পরীক্ষার ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেধাবৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। আর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে মেধাবৃত্তি ভোগ করে ছাত্রছাত্রীরা। এই চারটি পরীক্ষায় প্রতিবছর প্রায় ৫৫ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে থাকে। গত বছর পরীক্ষা না নেয়ায় কাউকেই মেধাবৃত্তিও দেয়া হয়নি।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাতিল | হচ্ছে | প্রাথমিক | সমাপনী | পরীক্ষা