ক'দিন আগে সদ্য সাবেক হওয়া বার্সেলোনার বোর্ড কর্মকর্তা জমে ইয়োপিস অভিযোগ তুলেছিলেন লিওনেল মেসির বার্সা ছাড়ার পেছনে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের ভূমিকা রয়েছে। এরপর মেসির বার্সা ত্যাগের পরপরই পদত্যাগ করেন ইয়োপিস। তার অভিযোগ, রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই মেসির সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছে কাতালান ক্লাবটি। অবশ্য এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পেরেজ।
ক'মাস আগেই বার্সা সভাপতির চেয়ারে বসেন হুয়ান লাপোর্তা। বার্তাম্যু পরবর্তী অধ্যায়ে তার প্রধান অঙ্গীকার ছিলো মেসিকে ধরে রাখা। যদিও বা সেই অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় মেসি এখন পাড়ি জমিয়েছেন প্যারিসে। এস্পাই বার্সা কমিশনের সদস্য ইয়োপিস অভিযোগ করেছিলেন, মূলত পেরেজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই পর্যাপ্ত সুযোগ থাকার পরেও লাপোর্তা মেসিকে ছেড়ে দিয়েছেন।
ইয়োপিসের এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন রিয়াল সভাপতি। পেরেজের ভাষ্যমতে, মেসি কেন, বার্সেলোনার কোন সিদ্ধান্তেই তার প্রভাব থাকা সম্ভব নয়। পেরেজ বলেন, 'মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনে আমার ভূমিকা থাকতে পারে, এটা অসম্ভব। শুধু মেসির বার্সা ছাড়াই নয়, বার্সেলোনার যেকোনো সিদ্ধান্তেই আমার প্রভাব থাকা অসম্ভব। এসব দাবি পুরোপুরি মিথ্যা।'
আর এই কাজে পেরেসকে বার্সেলোনার নতুন সিইও ফেররান রেভেরতার সহায়তা করেছেন বলে দাবি ইয়োপিসের। তবে এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন পেরেজ। বার্সা সিইও'র সঙ্গে দেখা হবার আগেই মেসিকে নিয়ে বার্সা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন বলেও জানিয়েছেন পেরেজ। এছাড়া রেভেরতার তার বন্ধু নয় উল্লেখ করে ইয়োপিসকে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন রিয়াল সভাপতি।
পেরেজ বলেন, 'বার্সেলোনার প্রধান নির্বাহী ফেরান রেভেরতার আমার বন্ধুও নন। তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছেই দুই বার। প্রথমবার চার মাস আগে আর দ্বিতীয়বার গত শনিবারে, যখন মেসিকে নিয়ে বার্সেলোনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। যে সভায় রেভেরতার ছাড়া বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা ও জুভেন্টাসের সভাপতি আন্দ্রেয়া আনেয়েল্লিও ছিলেন। আশা করব জমে ইয়োপিস নিজের এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন আর মিথ্যা দিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত করবেন না।’
এস