চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রমের সময় কাঠগড়ায় বসে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মোবাইলে কথা বলার ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রদীপের মোবাইল কাণ্ডে আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) কক্সবাজার জেলার দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলার সময় কাঠগড়ায় হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। কাঠগড়ায় তার মোবাইল ফোনে কথা বলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে মামলার অভিযুক্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের এজলাসে ফোনে কথা বলার বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে তিনি জানান, এজলাসে ফোনে কথা বলার বিষয়টি নজরে আসার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে তৃতীয় দিনের মতো সিনহার সহযোগী সিফাতের সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছে। তার সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সাক্ষ্য দেওয়ার পর মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের জেরার প্রক্রিয়া শেষ হয়।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় সোমবার। বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। মামলায় মোট ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্য দিয়ে প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
মুক্তা মাহমুদ