আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

তারকা পতনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

তারকা পতনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

একেকটা বিশ্বকাপ আসে রোমাঞ্চের আবহে নতুনের কেতন উড়িয়ে। সঙ্গী হয় হারানোর বেদনাও। তামিম, মাশরাফি, শহিদ আফ্রিদি, মালিঙ্গা, ধোনি, বেন স্টোকসদের মত মহাতারকাদের শূন্যতা নিশ্চয়ই মিশে থাকবে ওমান, দুবাই, আবুধাবি, কিংবা শারজার আকাশে বাতাসে।

আর আসিবো না ফিরে ক্রিকেটের এই লড়াকু রাজ্যে। স্মৃতির ছেঁড়া পাতায় কতশত কীর্তি আর রোমাঞ্চ। যদি দেখা না হয় তবে ভেবে নিও মিশে আছি বাইশ গজের ছায়াতলে। 

সময় ঘনিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের, চেনা অচেনা অপ্রিয় তারকাদের ভিড়েও যে শূন্যতা। যাদের মিস করবে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

উইকেট নিয়ে দু’হাত উঁচিয়ে দিব্যি উদযাপন, চার-ছয় হিটে ইনিংস রাঙানো শহীদ আফ্রিদি ছিলেন ২০১৬ বিশ্বকাপেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন বুমবুম খ্যাত আফ্রিদি। শূন্যতার তালিকায় পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরও।

ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির প্রথম শিরোপা জয়ী অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। গেলো বছর টিম ইন্ডিয়ার জার্সি তুলে রাখেন ক্যাপ্টেন কুল। খেলেছেন ৯৮ টি-টোয়েন্টি। ধোনির হেলিকপ্টার শট বিচক্ষণ নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে মিস করবে ক্রিকেট বিশ্ব।

দেখা যাবে না দিলশানের দিলস্কুপ। কিংবা বাহারি রঙের ঝাঁকড়া চুলে ছুটে চলা লাসিথ মালিঙ্গার পেস অ্যাটাক। লঙ্কার দুই রাজা ছেড়েছেন ক্রিকেট সিংহাসন। 

মাঠের মাঠের বাইরের নাচে গানে মাতিয়ে রাখতেন ডুয়াইন ব্র্যাভো। দর্শক আসনে ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স। 

কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, নামটা নিশ্চয়ই মনে আছে। গেলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, শেষ ওভারে টানা চার ছয়, তার বিরোচিত ব্যাটিং তাণ্ডবে শিরোপা জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সেদিন খলনায়ক হলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে নায়ক বেন স্টোক। মর্যাদার অ্যাশেজে ইংলিশদের বাঁচিয়েছেন খাদের কিনারা থেকে। মানসিক অবসাদে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। 

বাংলার তাবুতে নেই মাশরাফি আর তামিম। ২০১৬ সাল সর্বোচ্চ ২৯৫ রান করা তামিম নিজেকে সরিয়ে নেন দল ঘোষণার আগে। 

প্রকৃতি নাকি পরিহার করে শূন্যতা, তো মহা তারকাদের প্রস্থানে জৌলুস ধরে রাখতে পারবে তো এবারের আসর?

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তারকা | পতনের | টিটোয়েন্টি | বিশ্বকাপ