আর্কাইভ থেকে টুকিটাকি

টিকটিকি কামড়ালে কী হয়?

টিকটিকি কামড়ালে কী হয়?
বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে ঘুরে বেড়ায় টিকটিকি। নিতান্তই নিরীহ বলে মনে হয়। তাড়া করলে ভয়ে পালায়। কিন্তু সেই টিকটিকি থেকেই যে এমন কাণ্ড ঘটতে পারে, হয়তো ভাবেননি কেউ। আর তাই সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। বিশেষত যাদের বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট শিশু। কিছু দিন আগে ভারতের গুজরাতের সুরাত থেকে পাওয়া গিয়েছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর। একে এক কথায় বিপদ সঙ্কেতই বলা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, কদোদরা এলাকার একটি বাড়িতে একটি সাত মাসের শিশুকে টিকটিকিতে কামড়েছে। ওই সময় শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওইটুকু শিশুকে টিকটিকি কামড়ে দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।  তবে আপাতত শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। রাজকোটের বেদান্ত হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট ডা. মিলন ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুধু কামড় বলেই নয়, টিকটিকি থেকে ক্ষতি হতে পারে স্বাস্থ্যেরও।  যদিও তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, টিকটিকি বিষাক্ত প্রাণী নয়। তবে শিশুর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতেই পারে। তিনি দাবি করেন, শুধু টিকটিকি নয়, সুরাতের এ ঘটনা সমস্ত অভিভাবককে সতর্ক হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সঠিক নজরদারি না থাকলে অনেক সময়ই শিশুরা পোকামাকড় খেয়ে ফেলতে পারে। এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। সেদিকে নজর রাখা দরকার। টিকটিকি কোনও বিষাক্ত প্রাণী নয়। তবুও শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। পেটের সংক্রমণ ছড়াতে পারে— টিকটিকি বিষাক্ত নয়। তবে টিকটিকির বমি বা টিকটিকির মল যদি কোনও ব্যক্তি বা শিশুর পেটে যায় তাহলে তা পেটের সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানা রকম অসুস্থতার আশঙ্কাই থেকে যায়। কোনও ভাবে খাবারে টিকটিকি পড়ে গেলেও মারাত্মক বিপদ হতে পারে। আসলে টিকটিকির গায়ে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকে যা মানুষের পাকস্থলীতে সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের ফলে ডায়রিয়া-বমি, ডিহাইড্রেশন, উচ্চ রক্তচাপের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। তা থেকে শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। আবার টিকটিকি খেয়ে ফেলার ভয়েই মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক এবং ঘৃণা ভাব তৈরি হয়। যা থেকে আচমকা রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। টিকটিকি থেকে দূরে রাখতে হবে শিশুদের।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টিকটিকি | কামড়ালে | কী | হয়