আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ নেই ভোটের মাঠে

প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ নেই ভোটের মাঠে
গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন সুনামগঞ্জ-৩ এ এবার জমে উঠেনি ভোটের আমেজ। আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং সাবেক এমপি শাহিনুর পাশা চৌধুরীর বেশ পরিচিতি থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী তৌফিক আলী মিনারের পরিচিতিটা কিছুটা কম। জাতীয় পার্টির আরেক প্রার্থী মকবুল হোসেন কাঁঠাল প্রতীক নিয়ে আসলেও তাকে অতোটা চিনেন না উপজেলার জনসাধারণ। শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন এম এ মান্নান, তৃণমূল বিএনপির প্রতীক সোনালি আঁশ পেয়েছেন মোহাম্মদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক পেয়েছেন তৌফিক আলী মিনার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কাঁঠাল পেয়েছেন তালুকদার মো. মকবুল হোসেন। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত এই আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু গত তিনবারের মতো এবারও পরিকল্পনামন্ত্রীর ওপরই আস্থা রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নির্ভার থাকলেও নির্বাচনের মাঠে ভোটের আমেজ সৃষ্টি করাই নৌকার প্রার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার দিন থেকেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন তিনি। এই আসনটিতে ৮৯টি ভোট কেন্দ্রে ৪০৫টি ভোট কক্ষ রয়েছে। মোট ভোটার রয়েছে ২০১৮৭০ জন। বিগত নির্বাচনে শাহিনুর পাশা চৌধুরী ১৪দলীয় প্রার্থী থাকলেও এবার তৃণমূল বিএনপির প্রতীক সোনালি আঁশ নিয়ে মাঠে আসায় তেমন সাড়া পাচ্ছেন না তিনি। সামাজিক মাধ্যম সহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনা রয়েছে এবার ভোটের মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারবেন না এই প্রার্থী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী তৌফিক আলী মিনার লাঙল প্রতীক নিয়ে মোটামুটি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টির আরেক প্রার্থী তালুকদার মো. মকবুল হোসেন কাঁঠাল নিয়ে  আসলেও উপজেলার বেশিরভাগ জনসাধারণ জানেনি না যে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে শুধু নৌকার প্রচারণা দেখা যাওয়ায় জনসাধারণের ধারণা- এই আসনে আবারও নৌকার প্রার্থীই জয়লাভ করবেন। জিএমএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার | উত্তাপ | নেই | ভোটের | মাঠে