কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই ছাত্রলীগ নেতা রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দু ও ঝিনুক মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ বাজারে শরিফুল ইসলাম সোয়ানকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গেলো রাতে নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত আওয়ামী লীগ নেতার প্রাইভেটকারের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। নিহত ব্যক্তিকে পেটানোর সময় নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দেয়ার পরও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে রেহাই দেননি।
সদর থানার ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অজ্ঞাত আসামিদের নাম ও ঠিকানা জানা গেছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নিহত আওয়ামীলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ান
এদিকে হতকাণ্ডের পেছনে অন্য ষড়যন্ত্র আছে দাবি করে নিহতের স্ত্রী জানান, শুধু প্রাইভেট কারের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগার ঘটনায় এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ অবশ্যই এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ান কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়া তিনি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য।