করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে এলে প্রথম পর্যায়ে তা বাংলাদেশ পাবে-এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চললে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
আজ রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে হেলথ আউটকাম পরিমাপ এবং ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড বিতরণের শুভ উদবোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলনে, আমরা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, চুক্তি করেছি ভ্যাকসিন আনার জন্য। যখনই ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত হয়ে যাবে বাজারে আসবে আমরা অবশ্যই সেই ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ পেয়ে যাবে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড প্রস্তুত করণ দেশের মানুষের জন্য একটি মহৎ ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম হেলথ আইডি কার্ডের প্রচলন রয়েছে।এই কার্ড বিতরনের মাধ্যমে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য সেবায় আরেকটি মাইল ফলক উন্মোচিত হলো। এই কার্ডের মাধ্যমে এখন দেশের প্রান্তিক মানুষজনও খুব সহজেই স্বাস্থ্যসেবা লাভ করতে পারবেন।
হেলথ আইডি কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,"হেলথ আইডি কার্ডটিতে একজন মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যসমূহ সংযুক্ত থাকবে। কম্পিউটারের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলি একজন চিকিৎসক দ্রুত দেখতে সক্ষম হবেন।কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে এই কার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সফটওয়্যারে রোগীর পুর্ব তথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।"
দেশের আনাচে-কানাচেতে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করায় দেশের প্রান্তিক মানুষ আজ নিজ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। করোনাতেও এই কমিউনিটি ক্লিনিক নিবিড় পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এখন ২৮ প্রকারের জরুরি ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এত সংখ্যক কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করায় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার খানাভিত্তিক প্রতিটি সদস্যের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইনডিভিজুয়াল হেলথ হেলথ আইডি কার্ড তৈরি ও বিতরণ করা হবে। দেশের জনগণ হেলথ আইডি কার্ড ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা গ্রহন করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশিদ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান,কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু,স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন,কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর সহদেব চন্দ্র রাজবংশী এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক,অতিরিক্ত সচিব,তুলসী রঞ্জন সাহা প্রমূখ।
এস