ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে আবারও সরব রাজধানীর কূটনীতিক পাড়া। এবারের আলোচনার বিষয় গুলশানে তার বাসায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নৈশভোজ নিয়ে। সোমবার(৪ মার্চ) রাতে পিটার ডি হাসের সঙ্গে একত্রে ডিনার করেছেন ডক্টর ইউনূস। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে গ্রামীণ শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান নুরজাহান বেগম ছিলেন। পরে রাত ৯টার দিকে বাসভবন থেকে ড. ইউনূস বেরিয়ে আসেন।
নৈশভোজে তাদের মধ্যে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে মার্কিন দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে গ্রামীণ এবং অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের ওই সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান “অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনাল”—এর প্রধান চিফ টেকনোলজি অফিসার গ্রেগ নেলসনের সাথে প্রফেসর ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষে পিটার হাস ওই বৈঠক ও নৈশভোজের আয়োজন করেন।
নৈশভোজের বিষয়ে ইউনূস সেন্টার থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রধান চিফ টেকনোলজি অফিসার গ্রেগ নেলসনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষ্যে পিটার হাস এই বৈঠকের আয়োজন করেন।
এদিকে, নৈশভোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসও। মঙ্গলবার(৫ মার্চ) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, যাদের কাজের মাধ্যমে লাখো মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন সেই দুই ব্যক্তি ডক্টর ইউনূস ও মিসেস বেগমক আমন্ত্রণ জানাতে পারায় সম্মানিত বোধ করছি। ডক্টর ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অগ্রগতি নীবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার হিসেবে উদাহরণ হতে পারে।