চলতি রমজানের শেষ শুক্রবার ও পবিত্র কদরের রাতে জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদে লাখো মুসল্লির ঢল নামে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ও বিপুল সেনা মোতায়েন সত্ত্বেও প্রায় দুই লাখ মুসল্লি এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করেছেন।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ও লাইলাতুল কদরের রাতে এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করতে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি আল আকসা মসজিদে জড়ো হন।
শুক্রবার সকাল থেকেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত আল আকসা মসজিদে প্রবেশের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের জেরুজালেমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুরাতন জেরুজালেম শহর থেকে আসা তরুণ মুসল্লিদের পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই শেষে অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে অনেক মানুষ আল-আকসায় নামাজ আদায় করতে পারেননি।তারপরও লাখো মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন মসজিদের ভেতেরে ও প্রাঙ্গনে।
ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, কালান্দিয়া ও বেথলেহেম চেকপয়েন্টে কয়েক ডজন বয়স্ক মুসল্লিকে ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।জেরুজালেমে প্রবেশের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই এমন অজুহাতে তাদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, ওল্ড সিটি ও আশপাশের এলাকায়ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর জোরদার উপস্থিতি ছিল। এদিন, জেরুজালেমের ওল্ড সিটি ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার জন্য সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওল্ড সিটি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি শহর।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারাম আর মদিনায় মসজিদে নববীর পর মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান হলো জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ। এই মসজিদ ছিলো প্রথম কিবলা।হজরত ইব্রাহিম (আ.) কর্তৃক কাবাঘর নির্মাণের চল্লিশ বছর পর তাঁর ছেলে হজরত ইসহাক (আ.)-এর সন্তান হজরত ইয়াকুব (আ.) ফিলিস্তিনের জেরুজালেম নামক স্থানে ‘আল-আকসা’ মসজিদটি নির্মাণ করেন। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ(সা.) এর ওহি লাভ ও নবুয়ত প্রকাশের সময় ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ই কিবলা ছিল। নবীজি (সা.) মদিনায় হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এই কিবলা পরিবর্তন হয়ে পুনরায় ‘কাবা’ কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়।