তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। আর এমন তাপদাহ পরিস্থিতিতে একটু উল্টোপাল্টা খাবার খেলে যে অচিরেই পেট ফেঁপে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য! আর এ কারণেই গরমের দিনে প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলাদের হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়মটা মেনে চললেই কিন্তু এমনতর সমস্যার থেকে বাড়াতে পারবেন দূরত্ব।
কিন্তু অনেক সময় লোভের বশে সব নিষেধাজ্ঞা ভুলে তেল-মশলা সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ফেলেন গর্ভবতী নারীরা। আর তারপর পেট ফাঁপতে শুরু করে। তাই এই সমস্যার সহজ একটা সহজ সমাধান করা দরকার। আর সেই কাজে সাহায্য করবে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান।
তাই চলুন ঝটপট জেনে নেই উপাদানগুলো সম্পর্ক-
জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার
যুগের পর যুগ ধরে পেটের একাধিক সমস্যাকে বশে আনার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে জোয়ান। তাই এবার থেকে আজবাজে খাবার খেয়ে পেট ফাঁপলেই এক চামচ জোয়ান টুক করে গিলে নিন। তবে মনে রাখবেন, প্রেগন্যান্সির সময় কিন্তু লবন মেশানো জোয়ান খাওয়া চলবে না। এই ভুলটা করলে আদতে প্রেশার বাড়বে। তার বদলে আপনারা বরং লবন এবং মশলা বর্জিত জোয়ান নিয়মিত খান। আশা করছি, তাহলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
মহৌষধি আদা
এই সমস্যার সহজ সমাধান করতে চাইলে এক টুকরো আদা ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে চুষে চুষে খেতে পারেন। অথবা সমপরিমাণ আদা পানি দিয়ে গিলে নিন। ব্যস, তাহলেই গর্ভবতী নারীরা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বলে একাংশের বিশেষজ্ঞদের দাবি। তাই গ্রীষ্মের দিনে এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে এ উপদানের সাহায্য নিতে ভুলবেন না যেন!
মৌরির শরণাপন্ন হন
জোয়ানের মতোই মৌরিতেও এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হজমশক্তি বাড়াতে পারে। এমনকী পেটে মজুত অতিরিক্ত গ্যাস বের করে দেয়ার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই গর্ভবতী মহিলারা এবার থেকে পেট ফাঁপা বা ব্লটিংয়ের সমস্যায় আক্রান্ত হলেই, ঝটপট এক চামচ মৌরি চিবিয়ে খেয়ে নিন। ব্যস, এই কাজটা করলেই কিন্তু উপকার পাবেন হাতেনাতে।
পানিই জীবন
পেটে মজুত গ্যাসকে শরীরের বাইরে বের করে দিতে চাইলে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করুন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেঁপে থাকা পেট নরম হয়ে হবে। এমনকী খাবার হজমও হবে চটজলদি। সেই সঙ্গে এড়াতে পারবেন ডিহাইড্রেশনের ফাঁদ। তাই এবার থেকে বিপদে পড়লেই পানির শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!
এসব ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারের ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা না কমলে, সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকলে, পেটে ব্যথা শুরু হলে বা বমি পেলে– আর অপেক্ষা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।