রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন (৩৮) নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে। এর আগে বুধবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
র্যাব বলেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গুলশান-১ এর একটি বাসা থেকে টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৭ আগস্ট সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে মুসলিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হলে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে মরদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দাফন করে তার পরিবার।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন রংপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুরের সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
২২ আগস্ট টিপু মুনশি, তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি, মেয়ে তানিয়া অনন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
জেএইচ