একে একে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। এদের বেশিরভাগই গেলো এক থেকে দেড় যুগ এর বেশি সময় ধরে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন। এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারাগারে থেকেই ঢাকার অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন তারা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে আছেন ‘কিলার আব্বাস’ হিসেবে পরিচিত মিরপুরের আব্বাস আলী, তেজগাঁওয়ের শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগ এলাকার সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন।
এছাড়া আরও রয়েছেন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু।
যদিও কারা কর্তৃপক্ষের দাবি—নিয়ম মেনেই ছাড়া পাচ্ছেন এসব আসামিরা।
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনের বিষয়ে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বড় অপরাধীদের মামলা, জামিন, গ্রেপ্তার ও সামগ্রিক কার্যক্রমের ওপর পুলিশের বিশেষ শাখাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সব সময় নজরদারি করত। সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ভঙ্গুর অবস্থা তৈরি হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা খুব সহজেই বের হয়ে আসছেন। আবার বের হওয়ার পর তাদের ওপর কোনো নজরদারি নেই।
অপরাধ বিশ্লেষক ড. হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন,বিগত সময়ে দেখে গিয়েছে যে উচ্চ আদালত থেকে এসব অপরাধীরা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে জামিনে বেরিয়ে আসে আবার হত্যা করেছে। এটা প্রযোজ্য যারা সাধারণ হত্যা মামলার আসামি। আর যারা শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে-তো শুধুমাত্র হত্যা হয়, নানা ধরনের অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তাতে করে তো, দেশের যে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সেটার-ই অবনতির একটা আশঙ্কা তিনি করছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, জামিনে বের হয়ে কেউ যেন নতুন করে অপরাধমূলক কাজে জড়াতে না পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে তাদের কঠোর নজরদারি থাকবে। শীর্ষ সন্ত্রাসী, গডফাদার বা যেকোনো পরিচয়েই হোক, অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আই/এ