বাংলাদেশ

শীতেও সবজির বাজার গরম, বোতলজাত সয়াবিনের সংকট চলছে

বায়ান্ন প্রতিবেদন

শীত আসলে সবজির দাম কমবে এমনটি আশা করছিলো ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। তবে শীতের দেখা মিললেও রাজধানীতে সবজির দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের শীতকালীন সবজি। অন্যদিকে দাম বাড়লেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট চলছে।     

রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১০০, করোলা ১০০ টাকা, শসা কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মুলা কেজি ৩০ টাকা, পেঁয়াজের পাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, আর কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি করে আসতে শুরু করবে। তখন সবজির দাম অনেকটা কমে যাবে। 

অন্যদিকে দাম বাড়লেও দেখা মিলছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। খুচরা দোকানগুলোতে দু-একটি ব্র্যান্ড ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির সয়াবিন তেল মিলছে না। 

প্রায় এক মাস ধরে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী, এমনটি বিবেচনায় নিয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ায়। এরপর তিন দিন পার হলেও খুচরা বাজারে তেলের সরবরাহ ঠিক হয়নি। 

বজির পাশাপাশি সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে। সরু প্রজাতির নাজিরশাইল চালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকায়। অন্যান্য মিনিকেট চালের দামও ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে সরু চালের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে মোটা চালের ওপরও। যেমন ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের মোটা চালের দাম ১-২ টাকা বেড়েছে।

চালের পাইকারি বিক্রেতারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের একাধিক বড় মিল থেকে বাজারে চাল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাবে দাম বেড়েছে।

 

এনএস/ 

 

 

 


  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সবজির