আন্তর্জাতিক

বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্তে ব্যাপক চাপে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে ২০২১ সালে পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলার প্রদানের চুক্তি করেছিলো বিশ্বব্যাংক। গেলো কয়েক বছরে দেশটিকে ৪০ কোটি ডলার হস্তান্তর করে বৈশ্বিক ঋণদাতা সস্থাটি। তবে বাকি ৬০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক। ঋণের শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণে এই পদক্ষেপ, এমনটি জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের সরকারি প্রকল্প অ্যাফোর্ডেবল অ্যান্ড ক্লিন এনার্জি প্রোগ্রামের (পেস) অংশ হিসেবে ২০২১ সালে ১০০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্বব্যাংক। প্রথম কিস্তিতে ৪০ কোটি ডলার পায়, তবে দ্বিতীয় কিস্তি পেতে দেশটিকে বেশ কিছু শর্ত দেয় বিশ্বব্যাংক।

দ্বিতীয় কিস্তি পেতে বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তির অনুলিপি বিশ্বব্যাংককে প্রদান করতে বলা হয় পাকিস্তানকে। এছাড়া সিপিইসি নামের একটি চুক্তি মাধ্যমে পাকিস্তানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে চীনসেই চুক্তি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তবে বেইজিংয়ের আপত্তির কারণে চুক্তি সম্পর্কিত কোনো তথ্য বিশ্বব্যাংককে দিতে পারেনি পাকিস্তান।  

প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে, এই বাজেট ঋণ পাওয়ার পর নতুন আরও ২০০ কোটি ডলার ‍ঋণের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানের। এই ঋণ বাতিলের জেরে নতুন ঋণের জন্য আবেদনের পরিকল্পনাও মাটিতে মিশে গেলো দেশটির। এছাড়া এই ঋণ চুক্তি বাতিলের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানকে আর কোনো প্রকার বাজেট বিষয়ক ঋণ দিবে না বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ঋণ কোটার অনেকটাই শেষ করেছে ফেলেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানে চলতি অর্থবছর শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে।

অন্যদিকে এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, পাকিস্তানে এই মুহূর্তে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬৫ থেকে ৭০ পাকিস্তানি রুপি। ফলে ব্যাপক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার  করছে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা।

 

 

এনএস/ 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পাকিস্তান