উদ্বোধনী ম্যাচের ঝাঁজ টের পাওয়া গেল খুব ভালোভাবেই। দুর্বার রাজশাহী ১৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ১১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের চার উইকেটের জয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৬ (২৬) রানে এবং ফাহিম আশরাফ ৫৪ (২১) রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচ জিততে শেষ ৫ ওভারে ৫৮ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের। মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম মিলে দলকে একেবারে সহজ জায়গায় এনে দেন। ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ ১৯ ও ১৭তম ওভারে ফাহিম ২৫ রান নেন। এই দুই ওভারের রান দলকে শুরুর বিপদ থেকে রক্ষা করে।
দলকে স্বস্তি দিয়েছেন কেবল এই দুই ব্যাটার। এর আগে টপ অর্ডারের একরকম ব্যর্থতা দেখেছে বরিশাল। দলের রান ৩০ থাকতে ৩ উইকেট হারিয়েছে দলটি। তাওহিদ হৃদয় ৩২ (২৩) রান, শাহিন শাহ আফ্রিদিএর ২৭ (১৭ ) রান ছিল এদিকে বলার মতো। দলের রান ৬১ থাকতে হৃদয় ও ১১২ থাকতে বিদায় নেন শাহিন।
এরপর দলকে টেনে নিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ ও পাকিস্তানি ফাহিম। দুজনে মিলে জয় নিশ্চিত করেছেন।
দুর্বার রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে তাসকিন আহমেদ ৩ টি, হাসান মুরাদ ২ টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই জিসান আলমের উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে রাজশাহী। কাইল মায়ার্সের শিকার হয়ে কোনো রান না করেই বিদায় নেন জিসান। দলের রান যখন ২৫, তখন পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিসের উইকেট তুলে নেন মায়ার্স। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ১৩ রানে হারিসকে বিদায় করেন।
এরপর দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। তাদের এই জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় রাজশাহী। ১৮তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন এনামুল। ৫ ছক্কায় ও ৪ বাউন্ডারিতে ৫১ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। দলের অধিনায়ক হিসেবে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন শেষে, ফাহিম আশরাফের শিকার হন তিনি।
ইয়াসির রাব্বি শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি কেবল তার। তিনি ৮ টি ছক্কা ও ৭ টি চারে ৪৭ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। রাব্বির সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন রায়ান বার্ল, ৮ বলে ৯ রান করে।
এম এইচ//