ফেরান তোরেসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে চিতার বেগে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। ডিফেন্ডার আলভারো কারেরাসকে কাটিয়ে নিলেন সে শৈল্পিক শট। বেনফিকা গোলরক্ষকও হতভম্ব হয়ে গেলেন।
শীতের রাতে কম্বল মুড়িয়ে স্ক্রিনে চোখ রাখা বার্সা সমর্থকরা নিশ্চয়ই ততক্ষণে উত্তেজনায় কম্বল সরিয়ে ফেলেছেন। কারণ এ ম্যাচটা তো জেতারই কথা ছিলোনা বার্সার।
কিন্তু লিসবনের এস্তাদিও দা লুজে সিনেমার গল্পকেও হার মানানো স্কোর লাইনের পরিবর্তন দেখলো ফুটবল ভক্তরা।
খেলার ৩০ মিনিটেই গ্রিসের স্ট্রাইকার ভাঙ্গেলিস পাভলিদিস হ্যাটট্রিক করেন। এর মধ্যে পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করেন লেভানডফস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের বাঁক বদলে দেওয়া শুরু করেন রাফিনিয়া। ৬৪ মিনিটে বেনফিকা গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগান ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই রোনাল্দ আরাউহোর আত্মঘাতী গোলে ৪–২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বেনফিকা।
৭৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের আদায় করা পেনাল্টি থেকে লেভানডফস্কির গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। ৮৬ মিনিটে এরিক গার্সিয়া ম্যাচে ৪–৪ সমতা করে ফেলেন।
এরপর রাফিনিয়ার শেষের জাদু। ৯ গোলের ম্যাচে স্কোরলাইন দাঁড়ায় বেনফিকা ৪–৫ বার্সেলোনা। এ জয় সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলাও নিশ্চিত হলো হান্সি ফ্লিকের দলের।