ফুটবল

রিয়ালের কামব্যাক কেড়ে নিলো বার্সা

পেদ্রির দৃষ্টিনন্দন গোল, এমবাপ্পেকে দিয়ে রিয়ালের ফেরা, পেনাল্টির আশায় ইচ্ছে করে পরে গিয়ে রাফিনিয়ার হলুদ কার্ড, লুকা মদ্রিচের সহায়তায় জুলুস কন্দের গোল। রেফারি  বুর্গোস বেনগোচেয়া দিকে রুদিগারের তেড়ে যাওয়া। এক সাথে তিন জনের লাল কার্ড দেখা।

সব কিছু মিলিয়ে কোপা দেলরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার লড়াইটা ছিলো পয়সা উসুল ম্যাচ। তবে রাত জাগা সার্থক কেবল বার্সা ফ্যানদের জন্য।

প্রথমার্ধ দেখে মনে হচ্ছিলো আবার একটি এক পেশে এল ক্লাসিকো উপহার দিতে চলছে দল দুটি। কেনান রিয়ালকে খুজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না মাঠে। এর মাঝে ২৮ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বক্সের বাইরে থাকা পেদ্রিকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ান লামিনে ইয়ামাল। অরক্ষিত থাকা এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের গতিময় শট ঠেকাতে পারেননি থিবো কর্তোয়া।

প্রথমার্ধে রিয়ালকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না, তখন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দেখা গেলো সাইড লাইনে গা গরম করছেন। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেন ফরাসি তারকা। আর ফিরিয়ে আনলেন রিয়াল মাদ্রিদকে।

 ৭০ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপর ৭৭ মিনিটে আরদা গুলেরে কর্নার থেকে চুয়ামেনির হেডে এগিয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তির দল।

রিয়াল মাদ্রিদ যখন ভাবছিলো কামব্যাকের গল্প লিখে ফেলেছে, তখনই ম্যাচের ৮৪ মিনিটে কর্তোয়ার ভুলে বার্সেলোনাকে ২-২ সমতায় আনেনে ফেররান তরেস

অতিরিক্ত সময়ে ডি-বক্সে রাফিনিয়া পড়ে যাওয়ায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে ভিএআর চেকে পেনাল্টি তো বাতিল হয়ই। পেনাল্টির আশায় ইচ্ছে করে পরে যাওয়ায় রেফারি হলুদ কার্ডোও দেখান ফিনিয়াকে।

ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেলে যখন সবাই প্রহর গুনছিলো টাইব্রেকারের। তখন ১১৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের ভুল পাস থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন জুলুস কুন্দে।

 

৩-২ গোলে এগিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত এই স্কোরলাইনে জিতেছে বার্সাই। বাকি সময় টুকুতে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি রিয়ালের। উলটো রেফারির সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে কপালে লাল কার্ড জুটেছে আন্তোনিয়ো রুদিগার, লুকাজ ভাসকেজ ও জুড বেলিংহামের। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রিয়ালে