ফিলিস্তিনের গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৭১-এ পৌঁছেছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধারকৃতদের মধ্যে পাঁচজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৩ জনে। তবে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, যাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘ ১৫ মাসের সহিংসতার পর গেলো ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই চুক্তির অধীনে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, যা নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের আগ্রাসনে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, আর অবকাঠামোর ৬০ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে।
গাজার ওপর চালানো এই ভয়াবহ হামলার কারণে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে গেছে, যা বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে পড়েছে।
অবরুদ্ধ গাজায় এখনো বহু মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই ভূখণ্ডে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
এসি//