বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আমাদের সরকারের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে রেভিনিউ একমাত্র সমাধান। রেভিনিউ বাড়াতে পাড়লে আমাদের আইএমএফের দিকে তাকাতে হবে না। আমি ইতোমধ্যে আইএমএফকে বলেছি, আমাদের আইএমএফের টাকা দরকার নেই।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের কার্যালয়ে 'পাথ টু রিকভারি ফর ব্যাংকিং সেক্টর'শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, প্রতিদিনই আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসছি এবং তাদের সবকিছু অবজার্ভেশন করছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের অনেক লিকুইডিটি সাপোর্ট দিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ ক্যাপিটালাইজ হয়ে রিকভার করতে এসব ব্যাংকের ৫ থেকে ১০ বছর প্রয়োজন। আমাদের দেশে যেসব ব্যাংক খারাপ অবস্থা থেকে উঠে এসে ভালো করেছে, তাদেরও মোটামুটি এমন সময়ই লেগেছে।
তিনি বলেন, দেশের ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ফরেন সেভিংস পজিশন খুবই স্ট্রং। বিদেশ থেকে চাটুকারিতা করে সরকার ঋণ আনবে না।
ড. মনসুর বলেন, 'চলতি অর্থবছরে আমাদের প্রবাসী আয় হবে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া রফতানি আয় যদি আমাদের ৫০ বিলিয়নও হয়, তারপরও আমাদের আমদানি বাবদ পরিশোধ করে ১০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত থাকবে।’
বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং খুবই ভালো করছে এবং শিগগিরই এ খাতের ৫০ শতাংশ এজেন্ট নারীরা হবেন।
সম্পদের পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, "আমরা কেবল আশা করতে পারি যে, বাংলাদেশে কিছু রায় পাবো এবং বিদেশে কিছু সম্পত্তি আটকানো সম্ভব হবে। তবে অর্থ ফেরত আনা দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া।"
গভর্নর বলেন, "তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি। নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, অ্যাঙ্গোলার মতো দেশগুলো সফলভাবে অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।"
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংক খাতের কতটুকু সংস্কার করা সম্ভব এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, "আমরা এখন যে গতিতে এগুচ্ছি, তাতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ব্যাংকিং রেজোল্যুশন অ্যাক্ট করে ফেলতে পারবো। আমাদের পরিকল্পনা অনেক বড় ও উচ্চাভিলাষী। আমাদের পক্ষে যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি।"
আই/এ