রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা সাজিদ হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আসামির সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
অপরদিকে আসামি পক্ষের অভিযোগ, পরিস্থিতির কারণে জামিন পাচ্ছেন না তিনি।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী প্রাণ নাথ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৩ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাটে একটি অবৈধ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হাতে আটক হন এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
পরে ২৪ আগস্ট ভোরের দিকে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর মানিককে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই দিন মানিককে আদালতে নেয়ার সময় জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করেন সাধারণ মানুষ।
সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তারের আগে বা পরে মারধরের শিকার হন মানিক। এ কারণে আদালতে তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে আদালত জেলকোড অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সেদিন রাতে সিলেট কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অন্ডকোষে জরুরি অস্ত্রোপচার শেষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানে অনেকটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার অন্তর্গত এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নেন সাজিদ। সে সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গুলশানের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুলাই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সাজিদের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসি//