বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাবনায় অবস্থিত রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটি বিশেষজ্ঞ দল। প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম সংবাদসংস্থা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে

মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষামূলক উৎপাদনের আগে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে আণবিক শক্তি সংস্থার একটি দল সোমবার প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন। আইএইএ’র নিরাপত্তা মান অনুযায়ী কেন্দ্রটির  কাঠামোগত, প্রযুক্তিগত এবং সরঞ্জাম-সম্পর্কিত প্রস্তুতি দেখভাল করছেন। আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থাকবেন।   

তিনি আরও বলেন, চুল্লিতে পরমাণু জ্বালানি লোড করার দুই তিন মাস আগে চূড়ান্তভাবে নিরাপত্তার বিষয়টি আরও একবার পরীক্ষা করা হবে। যেটি এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে।

জাহেদুল ইসলাম বলেন,  পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য ধাপে ধাপে পরীক্ষা করতে হয়। প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করার পরই পরবর্তী ধাপে যেতে হয়। আমরা ইউনিট-১ এর কাঠামোগত ও যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে এটি চালু করার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে যাচ্ছি এবং আইএইএ এটি পর্যবেক্ষণ করছে।”

চলতি মার্চের শেষ দিকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জাহিদুল।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় নেয়া একটি ব্যয়বহুল প্রকল্প। যার নির্মাণব্যয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। এই অর্থের ৯০ ভাগ দিচ্ছে রাশিয়া।  

গেলো বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপরে প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে তদন্ত শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের মতে, প্রকল্পটি থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছে।      

 এনএস/