অপরাধ

অপহরণের পর নগ্ন ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি,কলেজছাত্রী উদ্ধার

রাজধানীর উত্তরায় এক কলেজছাত্রীকে পূর্ব পরিচয়ের জেরে বাসায় ডেকে নিয়ে তার নগ্ন ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অপহরণ চক্রের মূল হোতা মাসুম পারভেজসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা এক কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০টি ইয়াবা বড়ি, দুটি সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা এবং তিনটি মুঠোফোন ফোন উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২৮ মে) ভুক্তভোগীকে অভিযুক্ত মাসুমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম  আজ (৩০ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান,  অপহৃত মেয়েটি রাজধানীর একটি কলেজে পড়েন। গত সোমবার বিকেলে তাঁকে উত্তরার ১১ নম্বরে সেক্টরের ১০/বি সড়কের একটি ভবনের দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান তার পূর্বপরিচিত মাসুম পারভেজ। এরপর সেখানে আটকে রেখে মেয়েটির নগ্ন ভিডিও ও ছবি তোলা হয়। পরদিন মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই ভিডিও কলেজছাত্রীর মায়ের মুঠোফোনে পাঠিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান এবং মেয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান।

মুহিদুল ইসলাম জানান, এরপর কলেজছাত্রীর মা ঘটনাটি পুলিশকে জানালে উত্তরা পশ্চিম থানার একদল পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে। বুধবার বিকেলে পুলিশ উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে।

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখানে অপহৃতদের মাদক সেবনে বাধ্য করা হতো। এ ছাড়া বায়িং হাউসে নিয়োগ দেওয়া মেয়েদের দিয়েও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করতেন চক্রের সদস্যরা। এসব ভিডিও দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেলকরা হতো।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা বায়িং হাউসের কর্মী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)।

প্রসঙ্গত, অপহরণ চক্রে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ভিডিও #অপহরণ