ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ যাওয়া ৩৩ জনের মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায় মরদেহবাহী গাড়ি। এরপর মরদেহগুলো নামিয়ে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেডক্রিসেন্ট বরগুনার সদস্যরা।
এসময় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের স্বজনরা।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। এদের মধ্যে চারজনের মরদেহ ইতোমধ্যে স্বজনদেরও কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত এই মরদেহগুলো বরগুনা জেনারেল হাসপতালের মর্গে রাখা হবে। সকাল ১০টার মধ্যে কেউ মরদেহ শনাক্ত করতে পারলে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, লঞ্চে আগুনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ রাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রেখে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।