আইন-বিচার
আইন কর্মকর্তাদের মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে অ্যাটর্নি জেনারেল অনুমতি লাগবে
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/09/News-Image-85.jpg)
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি নিতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে কোন ‘বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না’ বলে মিডিয়ায় দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এমন নির্দেশনা এলো।
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এই অফিসের সকল আইন কর্মকর্তাগণকে জানানো যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অফিস সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কোন প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সাথে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয় অনুরোধ করা হল।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয়। যেখানে সোমবার বিকেল ৪টার মধ্যে বিবৃতি স্বাক্ষর করার কথা বলা হয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাক্ষর করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি স্বাক্ষর করার সাথে একমত নই। আমি মনে করি ড. ইউনুসের বিষয়ে যে বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি দেয়া হচ্ছে সেটির প্রয়োজন নেই। ড. ইউনূসকে ‘বিচারিক হয়রানি’ করা হচ্ছে। আর আমি মনে করি ওনার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো চলছে তা অন্যভাবে ডিল করা যেত। এটা এক প্রকারে ওনাকে প্রেশারে রাখার জন্যই করা হচ্ছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। উনি বাংলাদেশের জন্যই যে শুধু সম্মান বয়ে এনেছেন তা কিন্তু নয়, উনি সারা পৃথিবীর জন্য সম্পদ।’
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া ‘তিনি কিছু বলা আগে আমার সাথে কথা বলতে পারতেন। তিনি কাউকে খুশি করার জন্য এবং অন্য কোন উদ্দেশে’ ড. ইউনূস ইস্যুতে বিবৃতি’র বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার কক্ষের সামনের নেমপ্লেট মঙ্গলবার খুলে ফেলা হয়েছে। আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক ওই নেমপ্লেট খুলে ফেলেছেন দাবি করে সাংবাদিকদের বলেছেন,’এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিশেবে তার নেমপ্লেট আমি খুলে ফেলেছি। তার নেমপ্লেট এখানে থাকতে পারে না বলেই আমি মনে করি।’
সম্প্রতি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন সুপরিচিত ব্যক্তি ও নেতা অধ্যাপক ইউনুসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। একশ’র বেশি নোবেল বিজয়ীর দেয়া ওই চিঠিতে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচারকাজ স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ওই চিঠিতে বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার সংকট ছিলো জানিয়ে সামনের নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে গত কয়েকদিনে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ দেশের ৫০ সম্পাদক।
আইন-বিচার
কোটাবিরোধীদের যে অনুরোধ করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
![অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/05/অ্যাটর্নি-জেনারেল-এ-এম-আমিন-উদ্দিন.jpg)
আদালত একটি আদেশ (কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা) দিয়েছেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে সরকার তো আপিল বিভাগে গিয়েছে। এই মুহূর্তে, আদালতের প্রতি যে আন্দোলনটা , আমি মনে করি যে এটা না করাই উচিত হবে। বললেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সোমবার (৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিজ কার্যালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি এ অনুরোধ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, তিনি সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলাটির হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা শুধু আইনগত বিষয়টা দেখছেন। কোটা রাখা না রাখা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এইখানে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারে সেটাই রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন। পরে এ বছর জুনে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারী করা সরকারি পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আই/এ
আইন-বিচার
ইসলামী ব্যাংকের ৩৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের চিঠি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-136.jpg)
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকের তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশে ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ব্যাংকটির চট্টগ্রামের তিনটি শাখার মাধ্যমে বিতরণ করা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেনামি ঋণের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামসর্বস্ব এসব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন ঋণ সৃষ্টি করে আগের দায় সমন্বয় করা হয়েছে। ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এসব ঋণ ফেরত অথবা খেলাপি করতে বলা হয়েছে।
আলোচিত ওই ঋণ কেলেঙ্কারির তথ্য জানতে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের একটি সূত্র গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বিনিয়োগের অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার দায়-দায়িত্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং শাখা ব্যবস্থাপনার ওপর বর্তায়।
সে সময় ইসলামী ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্ট, জুবিলী রোড শাখা থেকে ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ও চাক্তাই শাখা থেকে মুরাদ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নির্বাহী কমিটির ১৯৫৯তম সভায় বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে। এসব বিনিয়োগের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রম করায় বকেয়া স্থিতি অবিলম্বে ১৫ দিনের মধ্যে আদায় করতে হবে। আর আদায় করতে না পারলে ক্ষতিজনক, মানে খেলাপি করে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে এ বিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার সুপারিশ, অনুমোদন ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ার সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতেও ওই চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
এএম/
আইন-বিচার
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/07/কাস্টমস-কমিশনার-এনামুল.jpg)
প্রায় ১০ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত ৪ জুলাই এনামুলের ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়, ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে।
জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ লাখ টাকার তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেত্রে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহানে কমনস্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কি স্পেসহ ১৮৩৫ বর্গফুট ফ্ল্যাট। এর মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা। এছাড়া কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং রয়েছে যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাচ কাঠা জমি। মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস। যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে। এছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে যার মূল্য দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
জেএইচ
- ঢাকা6 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
- ঢালিউড6 days ago
দীঘির বিয়ে? যা বললেন অভিনেত্রীর বাবা সুব্রত
- অন্যান্য6 days ago
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
- ফুটবল5 days ago
নির্ধারিত হলো কোপার কোয়ার্টার ফাইনালের দল ও সময়
- ফুটবল1 day ago
দেখে নিন ইউরোর সেরা ৪ দলের ম্যাচ সূচি
- অপরাধ6 days ago
মেয়ের পরিকল্পনায় খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী: পিবিআই
- ক্রিকেট4 days ago
বিসিবির কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিন সাবেক ক্রিকেটার
- বাংলাদেশ2 days ago
চাঁদ দেখা যায়নি, পবিত্র আশুরা যেদিন