Connect with us

দেশজুড়ে

খাটের নিচ থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

Avatar of author

Published

on

ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মিয়াপাড়া এলাকার একটি বাসার খাটের নিচ থেকে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই নারীর নাম- ঝুমা আক্তার (৩৫)।তিনি অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের বড় মেয়ে।

আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশ বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ. জলিল জানান, ঘরের ভেতর থেকে মরদেহের দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খরব দেয়। পরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের টিনের ঘরের একটি খাটের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি কয়েকদিন আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাসা থেকে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম ও ছোট বোন সুমা আক্তারকে (২৭) আটক করা হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

রংপুর

সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলি, এক বাংলাদেশি নিহত

Published

on

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) ভোরে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগারা সীমান্তের ৯১৯ সাব পিলারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।

বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে নুরুলসহ কয়েক বাংলাদেশি ভারতীয় গরু আনতে মালগারা সীমান্তে যায়। এ সময় বিএসএফের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে মারা যায় নুরুল ইসলাম। পরে অপর বাংলাদেশিরা তার মরদেহ দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

Advertisement

পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, নিহত নুরুল ইসলামের ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। কিছুক্ষণ পর লালমনিরহাটে পাঠানো হবে। এ ঘটনার প্রতিবাদসহ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এই ঘটনায় ব্যাটলিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

‘আমাকে আর মারবেন না’ বলে আঁতকে উঠে শিশুটি!

Published

on

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে ১১ বছরের এক শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের কারণে শিশুটি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কেউ সামনে গেলেই ‘মারবেন না’ বলে চিৎকার করে উঠছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াছিন আরাফাত (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, দেউলভোগ সবুজহাটি এলাকার ইমান আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি সাগর হাওলাদারের ছেলে নাহিদকে (১১) মোবাইল ফোন চোর অপবাদ দিয়ে সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাসার সামনে থেকে একই এলাকার মোস্তফা জামানের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত, তার বন্ধু রিয়াদ, শাহাদাৎ, শিহাবসহ বেশ কয়েকজন মিলে ধরে নিয়ে যায়।

ইয়াছিন আরাফাত ও তার লোকজন মিলে নাহিদকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গাছের ডাল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। খবর পেয়ে নাহিদের বাবা-মা ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে তারা মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য নাহিদকে উলঙ্গ করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। গ্যাস লাইটের আগুনে চাবি গরম করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছ্যাঁকা দেয়।

Advertisement

তারা দিনভর নাহিদকে আটকে রেখে নির্যাতন করতে থাকে। নাহিদের বাবা-মা অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার ছেলে উদ্ধারের জন্য ইয়াছিনদের বাড়িতে গিয়ে হাতে পায়ে ধরলেও তাদের মন গলেনি। রাত ৮টার দিকে ফের নাহিদের বাবা সাগর হাওলাদার ছেলেকে আনার জন্য ইয়াছিনদের বাড়িতে গেলে দেখেন সেখানে নাহিদ নেই। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা নাহিদকে সুবজহাটি রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তার বাবা-মাকে খবর দেন। নাহিদের বাবা-মা ছেলেকে নিয়ে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে ঢাকার সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

স্থানীয়রা জানায়, ইয়াছিন আরাফাত, রিয়াদ, শাহাদাৎ, শিহাবসহ এই গ্রুপটি বিএনপি নেতা ইদ্রিস শেখের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় নানা অপকর্ম করে থাকে।

শ্রীনগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজা পারভীন চৌধুরী বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের কারণে শিশুটি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কেউ কাছে গেলেই ‘আমাকে আর মারবেন না, মারবেন না’ বলে চিৎকার করে উঠছে। শ্রীনগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিস ছেলেটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।

এই ঘটনায় সাগর হাওলাদার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, শিশুটিকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক। পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাসেলস ভাইপার জমা দিয়ে পুরস্কার পেলেন ৩ জন

Published

on

নাটকিয়তার পরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া জমা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদপুরের ৩ জন।  ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এ পুরস্কার তুলে দেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই তিন ব্যক্তির হাতে পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ইশতিয়াক।

পুরস্কার পাওয়া আজাদ শেখ বলেন,তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। কথা রাখার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ।

রেজাউল করিম বলেন, এই ৫০ হাজার টাকা তাঁর পরিবারে খুব কাজে লাগবে। পাশাপাশি সাপুড়ে না হয়েও সাপ ধরে যে টাকা পেলেন এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ওই তিন ব্যক্তিকে পুরস্কারের ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে। পাশাপাশি সাপ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে গেলো ২০ জুন রাসেল ভাইপার মারতে পারলে তার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে একদিনের মাথায় সে ঘোষণা পরিবর্তন করে নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দিলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।

নাটকিয়তার এখানেই শেষ নয়,  গেলো ২৪ জুন সন্ধ্যায় আগের সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেয় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে এর আগেই পুরস্কারের আশায় জীবিত তিনটি রাসেলস ভাইপার নিয়ে যান ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম, আজাদ শেখ ও শাহজাহান খান। সে সময় বনবিভাগ থেকে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না থাকায় তাদেরকে পুরস্কারের টাকা দেয়া হয়নি।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করার আগে যারা জীবিত সাপ জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, জীবন্ত ৩টি  রাসেলস ভাইপার ফরিদপুর বন বিভাগের প্রহরী মো. জাহিদুল ইসলাম  আজ বিকেলে খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে  পৌঁছে দেন।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত