করোনায় গেল ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সংক্রমণ-মৃত্যু কমেছে, বেড়েছে সুস্থতার হারও। করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৩১ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৫৩২ জনের। পাশপাশি, এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪০ জন।
আর বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪ জন। ওইদিন এ রোগে মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৮৭৪ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৮ জন।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৬ হাজার ৩৪৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ৩৫২ জন। এই সময়ের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৪২ জন।
তবে গেল দুদিনে নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দুদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার সে দেশগুলো যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৩৬ হাজার ৬০, মৃত্যু ১২৪), তুরস্ক (নতুন রোগী ৩০ হাজার ২০১, মৃত্যু ১৮৮), রাশিয়া (নতুন রোগী ২৭ হাজার ২৪৬, মৃত্যু ৯৩৬), ভারত (নতুন রোগী ১৯ হাজার ৮৭০, মৃত্যু ২৪৮), এবং ব্রাজিল (নতুন রোগী ১৯ হাজার ৮৭০, মৃত্যু ৬২৮)।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮২ জন এমন তথ্যই দিচ্ছে ওয়েবসাইটটি।
এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার ৮৬০ জন।
বর্তমানে বিশ্বে করোনারোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৩৩৪ জন। আক্রান্ত এই রোগীদের মধ্যে মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ৯৬৭ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৩ হাজার ৩৬৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনাটিও প্রথম ঘটেছিল সেখানে।
চীনের পরপরই দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বে দ্রত বাড়তে থাকে বলেই ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।
মুক্তা মাহমুদ