পূর্ববর্তী বিশ্বকাপ গুলোর থেকে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে। যেখানে নতুন করে কপাল খুলবে আরও ১৬ টি দলের।
কারণ ৩২টির পরিবর্তে অংশ গ্রহনের সুযোগ পাবে ৪৮টি দল। আর ম্যাচ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৪ টি। গেল বছর কাতার বিশ্বকাপ থেকে ৪০ ম্যাচ বেশি। কাতার বিশ্বকাপে হয়েছিল ৬৪টি ম্যাচ। এছাড়াও বাড়বে গ্রুপের সংখ্য ৮ গ্রুপের জায়গায় থাকবে ১২টি গ্রুপ। যদিও প্রথমে আলোচনা ছিল ১৬ টি গ্রুপে হবে খেলা। তবে সেই চিন্তা থেকে সরে এসেছে ফিরা।
আসরে প্রতিটি দল খেলবে অন্তত তিনটি করে ম্যাচ। বিশ্বকাপ জিততে হলে একটি দেশকে খেলতে হবে আটটি ম্যাচ। কাতার বিশ্বকাপে এই সংখ্য ছিল সাতটি, অর্থাৎ এক ম্যাচ বেশি। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল এবং গ্রুপের তৃতীয় সেরা ৮টি দল নিয়ে রাউন্ড অব থার্টি টুর নক আউট পর্বের লড়াই শুরু হবে।
ম্যাচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফিফার বাড়বে অনেক আয়। টিকিট সংখ্যা বাড়বে প্রায় দেড় মিলিয়ন ।বাড়বে টেলিভিশন সম্প্রচারের সংখ্যাও।
দল এবং ম্যাচ বাড়ায় বাড়বে ভেন্যু সংখ্যাও। কাতার বিশ্বকাপ হয়েছিল পাঁচ শহরের মোট আটটি ভেন্যুতে। ২৬ বিশ্বকাপ খেলা হবে মোট ১৬টি শহরে।
এছাড়াও ঠিক হয়ে গেছে ২৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের তারিখও। ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ফুটবলের মহাজ্ঞের ফাইনাল। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। মধ্যপ্রাচ্যে গরম মাথায় রেখে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সূচি ঠিক করেছিল ফিফা। ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে আবার ফিরতে যাচ্ছে জুন-জুলাই চক্রে।