রিলিজের আগে শেষমুহূর্তে করণ জোহরের ছবিতে সেন্সর বোর্ডের কোপ। ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহানি’র পাঁচটি দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তুলেছে সিবিএফসি। ‘আদিপুরুষ’ বিতর্কের পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে সেন্সর বোর্ড। কড়া আতসকাঁচে রেখে প্রতিটা ছবিকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। এবার সেই কোপেই রণবীর সিং, আলিয়া ভাটের সিনেমায় বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটল।
প্রসঙ্গত, ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চর্চার শিরোনামে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’। বলিউডি ছবিতে বাঙালির ঘর-সংসার, রীতি-রেওয়াজ, আদব-কায়দা দেখানো হয়েছে। রয়েছেন বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির দুই তাবড় অভিনেতাও- চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় এবং টোটা রায়চৌধুরী। স্টিরিওটাইপ বঙ্গসংস্কৃতি দেখাতে গিয়ে রবি ঠাকুরের শরণাপন্নও হয়েছেন পরিচালক করণ জোহর। আর সেখানেই ঘটেছিল বিপত্তি! যা দেখে রে রে করে উঠেছিলেন বাঙালি নেটিজেনদের একাংশ। অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছেন পরিচালক। শুধু তাই নয়, একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’ আলিয়ার মুখে শুনে বেজায় উত্তেজিত হয়েছিলেন অনুরাগীরা। ছিল ‘দিদি’র উল্লেখও। এবার সেন্সর বোর্ডের কাঁচিতে বাদ গেল সেসব।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, সার্টিফিকেট দেয়ার আগে পারিবারিক ড্রামার বেশ কিছু সংলাপ ও শব্দ নিয়ে আপত্তি তুলেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন। তাতে যেমন রয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের খেলা হবে স্লোগান, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ নিয়েও আপত্তি তুলেছে সেন্সর বোর্ড। পাশাপাশি, ট্রেলারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে দৃশ্য নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়, সেই দৃশ্যেও পরিচালককে বদল আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসলে দেশের এহেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সম্ভবত বাংলা নিয়ে ছেলেখেলা করতে নারাজ সেন্সর বোর্ডও! এছাড়াও বেশ কয়েকটা অশ্লীল শব্দের পরিবর্তন হয়েছে।
১) ব্রা-কে বদলে দেয়া হয়েছে ‘আইটেমে’। ২) বে****দ বদলে ‘বেহেন দি’ করা হয়েছে। ৩) জনপ্রিয় অ্যালকোহল ব্র্যান্ড ‘ওল্ড মঙ্ক’ বদলে ‘বোল্ড মঙ্ক’ হয়েছে। ৪) তিনটি সংলাপ পুরো ছেঁটে ফেলতে হয়েছে। তার মধ্যে– ‘খেলা হবে’ ও ‘মমতা’র উল্লেখের পাশাপাশি অন্তর্বাস সম্পর্কিত এক শব্দও রয়েছে। ৫) কবিগুরুর দৃশ্যে সংলাপও বদলে গিয়েছে।