আর্কাইভ থেকে বিএনপি

আমারা শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ চাই : গয়েশ্বর

আমারা শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ চাই : গয়েশ্বর
সরকারে আজকে সব পাগলের দল এক জায়গায় হয়েছে। আজকে জনগণের সঙ্গে যারা প্রতারণা করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আমরা যুগে যুগে শুধু মার খাব না। এ জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। কেউ আঘাত করলে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এই আলোচনা সভা হয়। সভায় বিভিন্ন সঙ্গীদ পরিবেশনা করেন জাসাসের শিল্পীবৃন্দ। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ চাই। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শেখ হাসিনার পতনের জন্য মাঠে থাকব। শেখ হাসিনার পতনের আগে গয়েশ্বর রায় চিতায় উঠবে না। তার পতন করেই চিতায় উঠবো। জনগণের স্বপ্ন পূরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। তিনি বলেন, আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন আনন্দের হলেও আমি আনন্দিত নই। কারণ যাকে ঘিরে আমাদের সব সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে অনপুস্থিত। আজকে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বলছেন- কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? সেটা বিষয় নয়। বিষয় হলো- তাকে মুক্তি দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বিদায় বেলায় বললেন- যে বিচার বিভাগ যেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকে। তাহলে আপনি কি বলতে পারবেন যে খালেদা জিয়া কোন আইনে জামিন পেলেন না? আপনি তো দায়িত্বে ছিলেন। ‘আদালতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের ভাব দেখলে অবাক হই। যেই মামলার পরবর্তী তারিখ ১ থেকে দেড় মাস পর দেওয়ার কথা সেখানে কদিন পর পর তারিখ নির্ধারণ করছে। আমার মনে হয় আমাদেরকে আর বেশিদিন কোর্টে যাওয়া লাগবে না। কোর্টে যাবেন শেখ হাসিনা। তার কথাবার্তা দেখে মনে হয় তার ছিঁড়ে গেছে। তাকে যেতে হবে। কিন্তু আগেই যাওয়ার বিষয়টা জানাচ্ছে না। কারণ যদি তার বাবার মতো পরিণতি হয়। তবে তিনি এই লুটেরাদের নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বিচার বিভাগের কী অবস্থান সেটা ফুটে উঠেছে। অর্থাৎ তার বক্তব্য একটা কঠিন বার্তা। সেটা বিশ্ববাসী ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য। সরকার গুম, খুনের হোতা। তারা দুর্নীতিবাজ। যে কারণে ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হচ্ছে। আজকে সরকার পরাজিত হয়েছে। তারা সব জায়গায় প্রত্যাখাত হচ্ছে। শুধু ব্রিকস নয়, বিশ্বের কোথাও তাদের জায়গা হবে না। আজকে প্রত্যেকদিন বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুতরাং দেওয়ালের লিখন পড়ুন। জনগণের মনের ভাষা বুঝে বিদায় নিন। দেশটাকে মুক্ত করুন। বাকি ব্যবস্থা দেশের মানুষ নেবে। কারণ সংবিধান মোতাবেক দেশের মালিক তো জনগণ। আমরাও সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন চাই। সেটা হতে হবে মানুষের ইচ্ছার ভিত্তিতে। কিন্তু সরকার যা করছে তা তো মানুষের ইচ্ছার সঙ্গে যায় না। আমরাও তো সবার দাবির প্রেক্ষিতে মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ভাঁওতাবাজি করে লাভ হবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মো. আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, আসাদুল করিম শাহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, ওলামা দলের শাহ মো. নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আমারা | শান্তিপূর্ণভাবে | পদত্যাগ | চাই | | গয়েশ্বর