‘এখন কী হবে না হবে আমি জানি না। তবে আমাদের বেসরকারি খাতের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আমি এও বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বললেই পণ্য যাওয়া (রপ্তানি) বন্ধ হয় না। কারণ, সেখানে বেসরকারি খাত পণ্য কেনে। তারা সরকারকে অনেক সময় পাত্তাই দেয় না। তারা কেনে, কারণ তারা জিনিস সস্তায় পায়।’ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার(৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে মার্কিন শ্রম বিষয়ক নতুন নীতি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল মিনিস্টারের পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এপ্রসঙ্গে চীনের উদাহরণ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের ওপর কত ধরনের সীমাবদ্ধতা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও হোম ডিপোতে গেলে সব জিনিস চীনের তৈরি। কারণ, ব্যবসায়ীরা ঠিকই চীনা পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
তৈরি পোশাকশিল্প ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং যারা কেনে তারাও ব্যক্তিমালিকানাধীন উল্লেখ করে ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন,‘ক্রেতারা ভালো মানের পণ্য ঠিক সময়ে সস্তায় পায়। আমি শুনেছি এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে। আমি এ বিষয়টি দেখি না।’
মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি অনুযায়ি রাজনৈতিক সংলাপ সম্ভব নয় জানিয়ে দেশটির সরকারকে পাঠানো চিঠির জবাব এখনও পাওয়া যায়নি বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সংলাপ করবেন কার সঙ্গে, সেটি একটি বড় বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র কি এ ধরনের সংলাপ-টংলাপ করে? সেটি তাদের জিজ্ঞাসা করেন। তাদের দেশে নির্বাচনের আগে তারা সংলাপ করে কিনা। আমি বহু বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। আমি কোনও দিন সংলাপের কথা শুনিনি।’
নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘আমরা সবসময় বলে থাকি তারা যেন ভিয়েনা কনভেনশনে যা করার কথা সেটি করবেন, এর বাইরে করবেন না। তারা অত্যন্ত পরিপক্ব কূটনীতিক। তারা জানেন কী করতে হবে।’