‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে রমজান সম্পর্কিত কোনো আলোচনা সভার অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। এছাড়া এই শিরোনামে কোনো প্রোগ্রামের অনুমতি না দেয়ার জন্য হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অফিস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের বাসভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে আইন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে রমজানবিষয়ক আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। হামলায় অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়।
প্রক্টর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার জেরে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে। একইসাথে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেয়ার অনুরোধ করছে।
এদিকে আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী প্রক্টর ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিত নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন ইলেকট্রিকাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এল পলাশ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কোনো সময় বেঁধে দেয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে প্রোডাক্টিভ রমাদান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটির তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ আমি চিঠি দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছি কারণ এ ধরনের অনুষ্ঠান আবার হলে আবারও বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এতে করে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে ভেবে এই ব্যানারে রমজানবিষয়ক আলোচনা যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি। এর বাইরে রমজানবিষয়ক আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়নি।