প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের বক্সিংয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো আলজেরিয়ার ইমানে খেলিফা ও ইতালির অ্যাঞ্জেলা কারিনি। তবে খেলার মাত্র ৪৬ সেকেন্ডই কারিনি হার মেনে নেন।
কারিনির মুখে খেলিফা এমন শক্তিশালী পাঞ্চ করেছিলেন যে তাঁর নাক মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং শর্টসে রক্তও লেগে থাকতে দেখা যায়। রিংয়েই হাঁটু মুড়ে বসে শিশুর মতো কান্না শুরু করেন কারিনি।
এ ম্যাচের পরই খেলাফি নারী নাকি পুরুষ সেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলিফাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক বক্সিং
অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)।
আইবিএ খেলিফাকে চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার ব্যাপারে অযোগ্য ঘোষণা করার ব্যাখ্যায় জানায়, ‘মেয়েদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার শর্তগুলো পূরণ করতে পারেননি খেলিফা।’
প্যারিস অলিম্পিকের বক্সিং ইভেন্ট পরিচালনা করছে না আইবিএ। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির আইওসি অধীনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইওসির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘পাসপোর্ট অনুযায়ী খেলিফা নারী ও সেখানে তাঁদের নারী হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে।’
এদিকে আইওসির দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি বলেছেন, ‘তার মতে যেসব অ্যাথলেটের মধ্যে পুরুষদের জিনগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাঁদের মেয়েদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল এ বলেছেন, ‘মেয়েদের খেলাধুলা থেকে তিনি ছেলেদের বাইরে রাখবেন।
হ্যারি পটার বইয়ের লেখিকা জেকে রোলিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘কারিনির সঙ্গে নির্মম অবিচারের জন্য চিরকালের মতো কলঙ্কিত হলো প্যারিস অলিম্পিক।
এদিকে আলজেরিয়া অলিম্পিক কমিটি (সিওএ) খেলিফকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নিন্দা জানিয়েছে। সিওএ মনে করছে খেলিফার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘মিথ্যা’।