বিনোদন

সামান্থার নামে মন্দির: উর্বশীর পথেই কি হাঁটলেন ?

বিনোদন ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু’র নামে অন্ধ্রপ্রদেশে একটি মন্দির নির্মাণের খবরে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে তার সোনালি রঙের মূর্তি, আর সেখানে নিয়মিত পূজা হবে বলে ঘোসণা দেওয়া হয়েছে। তবে এনিয়ে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি কি শুধুই ভক্তির বহিঃপ্রকাশ, নাকি এর পেছনে আরও কিছু রয়েছে? এই খবর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে এবং তার নামও জড়িয়ে যাচ্ছে আরেক অভিনেত্রী  উর্বশীর নামের সঙ্গে। 

২৮ এপ্রিল ছিল সামান্থা রুথ প্রভু’র জন্মদিন।  এই বিশেষ দিনটি আরও স্মরণীয় করে তুললেন তার এক অনুরাগী সন্দীপ।  যিনি বাপতলা জেলার আলাপাডু গ্রামে সামান্থার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করলেন।  মন্দিরের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে সামান্থার সোনালি রঙের মূর্তি এবং সেখানে নিয়মিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে।  শুধু মন্দির নির্মাণই নয় সন্দীপ নিজেও ওই দিনটি পালন করেছেন অসহায় শিশুদের সেবা করে, তাদের মধ্যে নরনারায়ণ রূপে সেবা প্রদানের মাধ্যমে।

সন্দীপ জানান, তিনি তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হিসেবে সামান্থা’কে দেখেন।  তার সমাজসেবা, তার কর্মফল এগুলো আমাকে এতটাই প্রভাবিত করেছে যে, আমি তার নামে একটি মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  এটাই আমার ভালোবাসার প্রকাশ। 

অবশ্য এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়।  দক্ষিণ ভারতে প্রিয় তারকাদের নামে মন্দির নির্মাণের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।  এই ধরনের উদ্যোগ সাধারণত তারকাদের প্রতি ভক্তদের সম্মান জানানোর এক রূপ। রজনীকান্ত, নিধি আগরওয়ালসহ আরও অনেক তারকার নামে মন্দির রয়েছে, যেখানে তাদের পূজা অনুষ্ঠিত হয়।  এই সংস্কৃতি দক্ষিণ ভারতেই বেশি প্রচলিত, যেখানে ফ্যানেরা তাদের প্রিয় তারকাকে বিশেষ সম্মান জানাতে এমন উদ্যোগ নেন। 

তবে সামান্থার মন্দির নির্মাণের ঘটনা উর্বশী রাউতেলা’র বিতর্কিত মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।  কিছুদিন আগে উর্বশী দাবি করেছিলেন যে, বদ্রীনাথের মন্দিরে তার নামে একটি মন্দির রয়েছে, এমনকি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরও তার একটি মন্দির রয়েছে।  তার দাবি সেখানে তাকে ‘দমদমি মাই’ নামে পূজা করা হয়।  তার এই মন্তব্যটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল এবং তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। 

এখন প্রশ্ন ওঠে, সামান্থা রুথ প্রভু কি তারকা-মন্দিরের সেই সংস্কৃতিরই অংশ হয়ে উঠেছেন? যদিও উর্বশী ও সামান্থা’র ক্ষেত্রে তফাৎ রয়েছে, তবুও এই মন্দির নির্মাণের ঘটনা সেই পুরনো আলোচনারই পুনরাবৃত্তি।

সামান্থার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে যে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে, তা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন তার অনুরাগীরা।  এক অনুরাগী মন্তব্য করেছেন, সামান্থার মানবিক কর্মকাণ্ড আমাদের গর্বিত করে, তার প্রতি এই সম্মান দেখানো সত্যিই প্রাপ্য।  আরেকজন বলছেন, তার কাজের জন্য এই মন্দির একটি ছোট্ট উপহার মাত্র।  তিনি যা করছেন, তা আসলেই সমাজে একটি আলোকিত দৃষ্টান্ত।

দক্ষিণ ভারতে এমন মন্দির নির্মাণের রেওয়াজ থাকলেও, সামান্থা রুথ প্রভুর নামাঙ্কিত মন্দির নির্মাণের ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  এতে শুধু তার ভক্তরা নয়, সারা দেশ থেকেই মন্তব্য আসছে এটি আসলে তার সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানবিক কাজের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।  কিন্তু এটি কি শুধু ভক্তির শাখায় পড়ে, না এর পেছনে কোনো অন্য অর্থ রয়েছে?

এসকে// 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সামান্থা রুথ প্রভু | মন্দির নির্মাণে