দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । যিনি শুধু তার অভিনয় প্রতিভার মাধ্যমে নয় , ব্যক্তিত্ব ও শক্তি দিয়ে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন । তিনি আর কেউ নন সামান্থা রুথ প্রভু। তার জীবন শুধু সিনেমার রূপালী পর্দায় সীমাবদ্ধ নয় বরং, বাস্তব জীবনের গল্পও এক ভিন্ন রকমের। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ এই সবকিছুর পেছনে যে এক অবিশ্বাস্য গল্প লুকিয়ে রয়েছে তা জানা গেলেও কিছুটা অবাক হতে হয়।
সামান্থা রুথ প্রভু এবং নাগা চৈতন্য দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির এক অন্যতম জনপ্রিয় জুটি । যারা একসময় সবার চোখে প্রেমের এক আদর্শ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিলেন। সেলিব্রিটি দুনিয়ায় তাদের সম্পর্ক ছিল এক রূপকথার মতো । মধুর, স্নিগ্ধ এবং চিরকাল অটুট। তবে একসময় সেই সম্পর্কের পরিণতি হয় বিচ্ছেদে। এই সম্পর্কের ভাঙনের পেছনে আসলেই কি গভীর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সেটা কেউ ভাবতে পারেননি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সামান্থাকে তার বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি হেসে হেসে এমন এক মন্তব্য করে, যা এক মুহূর্তে সকলকে স্তব্ধ করে দেয়। গুপ্তচরের কোনো গুণ আমি খুব একটা মেনে চলি না তবে থাকলে ভালো হত। সে বলেন , একজনের ওপর নজরদারি চালানো উচিত ছিল । তার এই কথাগুলোর মধ্যে এক ধরনের আক্ষেপ লুকিয়ে ছিল । যা তার অভ্যন্তরীণ কষ্টের বহিঃপ্রকাশ ছিল। তবে তার এই মন্তব্য প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যর প্রতি কোনো আক্রোশের প্রকাশ ছিল কি না এইটাই ভাবার বিষয়।
এ প্রশ্নের উত্তর সামনে আসতেই সামান্থা খুব সহজ ভাষায় বলেন , না, আমি কখনোই তার চলাফেরার উপর নজর রাখিনি। তার এই সোজাসাপ্টা উত্তরে চোখে ছিল এক অব্যক্ত দুঃখ । যা কখনও প্রকাশ হয়নি। তার অতীত সম্পর্ক, নাগা চৈতন্য এবং শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা সব কিছু মিলিয়ে সামান্থার জীবনে ছিল এক শোকাবহ অধ্যায়। তার এই সম্পর্কের ভাঙন ছিল জীবনের এক কঠিনতম অধ্যায় , যা শেষ পর্যন্ত তাকে তার শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করেছে।
সামান্থা রুথ প্রভু অভিনীত ‘সিটাডেল: হানি বানি’ ওয়েব সিরিজে নিজের শক্তিশালী চরিত্রের মাধ্যমে আবারও নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। গুপ্তচরের চরিত্রে তার অভিনয় যেমন রহস্যময় ও জটিল ঠিক তেমনই বাস্তব জীবনে তিনি একজন শক্তিশালী নারী । যিনি নিজের শক্তি এবং ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সব কিছুকে জয় করেছেন। তার জীবনের শোক ও প্রতারিত হওয়ার গল্পের মাঝেও এক নতুন পথে চলছেন , যা এক নতুন উজ্জীবনের পথ।
সামান্থা আজও একা। তবে একা থাকা মানে কিন্তু একেবারেই নিঃসঙ্গতা নয় বরং , এটি তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। তার অভিনয়ের শক্তি, তার বুদ্ধি ও তার প্রতিভা সব কিছুই তাকে এক নতুন শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। এখন তিনি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ নামক ছবিতে কাজ শুরু করেছেন, যা তার ক্যারিয়ারের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে।
এদিকে নাগা চৈতন্য তার নতুন জীবন শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে শুরু করেছেন । কিন্তু সামান্থা যিনি একসময় পুরো ইন্ডাস্ট্রির আলো ছিলেন এখনও সেই আলো নিজের হাতে ধরে আছেন। তার জীবন যেন এক সিনেমার গল্প, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে যেন আছে নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন সম্ভাবনা এবং নতুন এক শক্তির প্রতীক।
এসকে//