বাংলাদেশ

আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা তদন্তের সিদ্ধান্ত

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: ফাইল

আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা দশ বছর পর পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আওয়ামী লীগের সময় এই মামলায় দুর্নীতির প্রমাণ না মেলার পর তা নিষ্পত্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতা এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইনক-কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করায় বনানী থানার মামলা মামলা করা হয়। পরে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে আদালতে এফআরটি দাখিল করা হয়। ওই মামলা পুনঃপর্যালোচনা করে কমিশন মামলাটি অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

রাজধানীর বনানী থানায় ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর মোত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সাবেক সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল এ মামলা এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।

দেড় বছরের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেয় দুদক। যা ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত গ্রহণ করে।

পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার এজাহারে সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। মামলাটির এফআরটির মাধ্যমে তারাও এ অভিযোগ থেকে রেহাই পান।

এম এইচ// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পদ্মা সেতু | দুর্নীতি দমন কমিশন | দুদক | তদন্ত