দাপট দেখিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে দিল দুর্বার রাজশাহী। মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী।
অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪৬ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান রায়ান বার্ল, তার ব্যাটে আসে অপরাজিত ৩৩ বলে ৫৫ রান। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটি ছিল ১০৬ রানের। এর আগে রাজশাহীর হয়ে বল হাতে একাই ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তাসকিন আহমেদ।
লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে ঢাকা। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস প্রথম চার বলে ১২ রান তোলেন। মোস্তাফিজুর রহমানের পঞ্চম বলে অবশ্য ফিরতে হয়েছে এই ব্যাটারকে। ব্যাটে কোনো রান না নিয়ে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার জিসান আলম। ততক্ষণে মাঠে নেমেছেন বিজয়।
জিসান ফেরার পর ইয়াসির আলী রাব্বি ২ ছক্কা ও ১ চারে নেন ২২ রান। এনামুল তখন নিজেকে অনেকটা থিতু করে নিয়েছেন। বাউন্ডারির তুবড়ি ছোটাতে থাকেন তিনি। ইয়াসির ফেরার পর নতুন ব্যাটার আসেন বার্ল। দুজনে মিলে জয়ের জন্য ছুটতে থাকেন।
এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে চড়েই জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী।
এর আগে শাহাদাৎ হোসেন দীপুর ৫০ ও স্টিফেন এসকিনাজির ৪৬ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে ১৭৪ রানের সংগ্রহ তোলে ঢাকা।
অন্যদিকে প্রথম বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েছেন তাসকিন আহমেদ। বল হাতে ৪ ওভার বল করে সাত উইকেট নেয়ার দিনে ১৯ রান দিয়েছেন তিনি।
ঢাকার ইনিংসে শেষদিকে ব্যাট হাতে ভূমিকা রেখেছেন শুভাম রানজানে। তার ব্যাটে আসে ১৩ বলে ২৪ রান। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু, ৯ বলে ১৩ রান করে বিদায় নিয়েছেন।
শুরুটা মোটেও ভালো করেনি ঢাকা। জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ পরপর দুই ওভারে লিটন দাস ও তানজিদ হাসানকে ফিরিয়েছেন। লিটন ৫ বল খেলে কোনো রান নিতে পারেননি। তানজিদ ৯ রান করেন।
এরপর এসকিনাজি ও দীপু মিলে দলের হাল ধরেন। দলীয় রান ৯৩ রান থাকতে এসকিনাজি ফিরেছেন ২৯ বলে ৪৬ রান করে। তার উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ। এরপর থিসারা পেরেরা ক্রিজে এসে ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটে আসে ৯ বলে ২১ রান।
দীপু ৪১ বলে ৫০ রান করে তাসকিনের শিকার হয়েই ফিরেছেন। তাসকিন এরপর ফিরিয়েছেন আরও ৪ ব্যাটারকে। এতে করে বিপিএলে এক ইনিংসে ৭ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
এম এইচ//