‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’
এই স্লোগানে যাত্রা শুরু করে অভ্র কিবোর্ড। যার জনক মেহদী হাসান খান। তার নামের আগে আছে ডাক্তার পদবি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। ছাত্র থাকাকালীন সময়ে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন তিনি। একে ‘যুগান্তকারী’ বা ‘আবিষ্কার’ শব্দ দিয়ে বিশেষণ করলেই সবচেয়ে উপযুক্ত হয়।
মেহদী হাসানের হাতে যে বিশেষ সফটওয়্যার আত্মপ্রকাশ করে, সেই সফটওয়্যার দিয়ে আমরা ক্রমাগত বাংলা লিখে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল বা কম্পিউটারে যখন টাইপিং করে, তখন তার কিবোর্ড থাকে অভ্রতে। সহজেই কিবোর্ড চেপে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়।
ইংরেজি অক্ষরগুলো চাপলে বাংলা হয়ে আসে। মেহদী হাসান খানের এমন আবিষ্কার বারবার স্মরণ করেছে মানুষ। তবে একটা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কেনো যেন পাওয়া হয়ে ওঠেনি! যে স্বীকৃতি তিনি ‘ডিজার্ভ' করেন বলে নেটিজেনরা কত লেখাই না লিখলেন। শেষপর্যন্ত স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন ডা . মেহদী হাসান খান।
২০২৫ সালের জন্য ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক দেবে বর্তমান সরকার। সেই নাগরিকের একজন মেহদী হাসান। তিনি ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ অভ্র কিবোর্ড উন্মুক্ত করেন। মেহদী হাসান খান’কে এই সফটওয়্যারের মূল্য কত জিজ্ঞেস করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ফ্রি। ভাষার জন্য টাকা নেবো কেন?’
সেই থেকে অভ্র কিবোর্ড মানুষের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সহজে বাংলা লেখার জন্য দেশের প্রতিটি জায়গায় অভ্রের ব্যবহার দেখেছে মানুষ। এই সফটওয়্যারের পেছনের কারিগরকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়তো হয়নি। কেউ কেউ করেছেন, তবে এখন বোধহয় সবাই এই আলোচনায় অংশ নেয়ার সময় হয়েছে।