আজ মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূতি হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী সাগাইং অঞ্চলে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী এবং কক্সবাজারে স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৩০ মিনিটের দিকে কম্পন অনুভূত হয়।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের পরপরই কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যার ফলে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে। প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার ১২ মিনিটের ব্যবধানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে রাস্তায় ফাঁটল দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ভূমিকম্প–বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই। এর প্রভাবে আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর পরাঘাত বা আফটার শক আরও হতে পারে।
বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ও চীনেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৯। চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার তথ্য অনুসারে, সিইএনসি-এর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ইউনানে কম্পন অনুভূত হয়েছে।'
এমএ//