গেলো জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব দিতে কাতারে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। এতে সেখানে থাকা নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করা ‘জিওডেসিক ডোম’ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র সিন পার্নেল এই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘জিওডেসিক ডোম’ একটি অত্যাধুনিক উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে মার্কিন সামরিক বাহিনী বিশ্বব্যাপী সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে নিরাপদভাবে ভিডিও এবং তথ্য আদান-প্রদান করত। এর আগে, ইরানি হামলায় জিওডেসিক ডোম অকেজো হওয়ার বিষয়টি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিলো। প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরেই পেন্টাগন বিষয়টি স্বীকার করলো।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থাপনার স্যাটেলাইট ইমেজ নিয়ে কাজ করে মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্লানেট ল্যাব পিবিসি। সংস্থাটির মতে, ২৩ জুন ইরানি হামলার আগে আল উদেইদ ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর জিওডেসিক ডোমের অবস্থান দৃশ্যমান ছিলো। তবে ইরানি হামলার পর ২৫ জুন নতুন করে আমেরিকান ঘাঁটির স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। এতে জিওডেসিক ডোমের অস্ত্বিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মার্কিন বিমানবাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং ২০১৬ সালে ওই জিওডেসিক ডোম স্থাপন করে। যা বানাতে খরচ হয়েছে ১৫ মিলিয়ন ডলার।
এর আগে, কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলাকে অত্যন্ত দুর্বল জবাব হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ইরান ওই হামলায় ১৪টি মিসাইল ব্যবহার করে। এসব মিসাইলের মধ্যে ১৩টি ঠেকিয়ে দেয়ার দাবি করেছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এনএস/